সেদিন রাজশাহীর এক মেডিকেলে পরীক্ষার জন্য কিছু student দের লাশের প্রয়োজন পড়ল। অন্য গ্রুপদের লাশ জোগাড় হয়ে গেছে । শুধু একটা গ্রুপের জন্য লাশ শর্ট পড়ে গেল । তখন তারা একটা কষাই বা ডোমকে খবর দিল। একটা লাশের জন্য ৫০০০ টাকা । ডোম লোভে পড়ে খুশিতে পুরা পাগল । ওইসময় তার হাতে কোনো লাশ ছিলো না। রাত তখন ১০টা। এত অল্প সময় লাশ কোথায় পাবে ভাবতেই তার মাথায় আসল…..!! আজ সকালেই পাশে একটা কবরস্থানে একজনকে দাফন করা হয়েছে, লাশটা এখনও তাজা আছে, তাই ওটাই কবর থেকে চুরি করে নিয়ে আসা যাক। রাত তখন ১২টা। সে ইচ্ছামত নেশা করল….., (কারণ ডোমরা লাশ ধরা বা কাটার সময় নেশা করে যাতে সে যা করছে তা অনুভব করতে পারে,একটা সাধারণ মানুষের জন্য সজ্ঞানে এসব করা কষ্টকর) যাই হোক, সে তার সাথে একটা এসিস্ট্যান্ট কে নিল। তাকেও মদ সাধল, কিন্তু সে খেল না। সে বারবার ডোমকে মানা করতে লাগল…. – ভাইজান, ওহানে যাইয়েন না। এইডা আমাগো জইন্যা ঠিক হইতাছে না। একে তো ইলিগেল কাম,তার উপরে অমাবইস্যার রাতরে এই ভূতুরে কবরস্থানে!!! ভাইগো!! মোর ডর লাইগতাসে। মুই ভাগি!! ডোম- আরে রাখ তোর ডর, ছাগল কোই যাস?? মোর লগে যাবি, আর হেইডাই ফাইনাল!! তোরে ১০০০টাগা দিমু। …..কোনোমতে ওকে ধরে নিয়ে কবরস্থানে পৌছালো ডোম। ঘুটঘুটে অন্ধকার ।শেয়াল,কুকুর চিৎকার করছে । ..কবরস্থান জঙ্গলে ভরা। তারা কবর খোঁরা শুরু করল।
ভয়ে এসিস্ট্যানট এর হাত পা ঠান্ডা হচ্ছে আর ডোম তাকে বকা দিয়ে ঘোরের মধ্যে মনের আনন্দে গান গাচ্ছে আর কুড়াল চালাচ্ছে। হঠাৎ করে ছেলেটি লক্ষ্য করল ডোম যতটুকু কবর খুড়ছে, আশেপাশের সব কবর থেকে একই পরিমাণে মাটি সরছে,…. ডোম পুরা মাটি সরিয়ে ফেলল, আর সাথে সাথে সব কবরের মাটি সরে গেল। আর সব কবরের লাশ দেখা যাচ্ছে, নতুন,অনেক বছর পুরান সব রকমের বীভৎস লাশ, ছিন্নবিছিন্ন কঙ্কাল।। এটা দেখে তার চোখ বড় হয়ে গেল আর ভয়ে হৃৎপিন্ড থেমে যেতে লাগল। সে ঠেলে চিৎকার করে ডোমকে ডাকতে লাগল- ভাইজান!!! ওরে বাবাগো, মুই কী দেইখতাছি!! ওইহানে দেহেন!! ক..কব্..কবর থেইকা……… ডোম- আরে থাম শালা….কী যে মজা…এই লাইশডা বাইর কইরলে এত্তগুৃন টাগা!!! হাহাহাহাহাহৈহৈ ছেলেটি -আল্লাহগো।। মুই ভাগি। এই বলে assistant দৌড় দিয়ে পালিয়ে যায় । আর ডোমের কোন হুঁশ নেই । তারপর সে কবর থেকে লাশটাকে উঠে বসালো আর বাকি সব কবর থেকে উঠে বসল আর তার দিকে ঘুরল। সে লাশটাকে উঠিয়ে দাঁড় করালো আর হল কী, সব লাশগুলো উঠে দাঁড়ালো ও তার দিকে হেঁটে বা হেছরিয়ে তার দিকে আসতে লাগল। এতক্ষণে ডোমের হুঁশ ফিরল। সে এই দৃশ্য দেখে পড়ি মরি করে লাশ ফেলে দৌড় দিল। আত্মারাও তার পেছনে ছুটল। ডোমের assistant দূর থেকে এসব দেখল আর বাড়িতে চলে গেল। এদিকে সকালে শোনা গেল, সেই কবরস্থান থেকে ডোমের রক্তাক্ত কাটা লাশ পাওয়া গেছে ।