এক পেত্নীর বে হয়েছে ; সে শ্বশুরবাড়ী যাবে , যাবার আগে পেত্নীর আলতা পরবার সাধ হলাে । পেত্নী আলতা পরবে কি করে , এই কথা ভাবছে , এমন সময় এক নাপ্তিনী সেই পথ দিয়ে যাচ্ছিল । যেতে যেতে সেই পেত্নীকে দেখে
নাপ্তিনী যেমনি পালাবে , তেমনি পেত্নী তার সামনে এসে বল্লে , – ” দেঁ আঁমার পাঁ কাঁমইয়ে দেঁ , আঁর কঁড়ি নেঁ ।” এই কথা শুনেই নাপ্তিনীর মুখ শুকিয়ে গেল , সে কি করে , কিছুই ঠিক করতে পাল্লে না। পালাতেও পারে না , পালালেই পেত্নীর পেটের ভিতর যেতে হবে । আর কি করেই বা কামইয়ে দেয় , তার কাছে আলতা নেই সে অনেক ভেবে চিন্তে একটা বুদ্ধি কল্লে । নাপ্তিনী পেত্নীকে বল্লে , “ আচ্ছা , পা কামইয়ে দিচ্ছি কিন্তু দেখাে , আমি যেমন বলবাে , তােমাকে তেমনি করে থাকতে হবে । পা কামানর আগে মাস তােলাটা বড় শক্ত ! ”
এই কথা শুনে সেই পেত্নী বল্লে , “ আচ্ছা , তুই যেমনি ব ’ লবি আঁমি তেমনি করে থাঁকবাে এঁখন শীগঁগির পাঁ কাঁমইয়ে দেঁ । ”
“ আচ্ছা দিচ্ছি ” , এই কথা বলে নাপ্তিনী পেত্নীর পায়ের মাস তুলতে আরম্ভ কল্লে ।
শেষে এমনি মাস তুলতে লাগলাে যে পেত্নীর পা থেকে রক্ত পড়তে লাগলাে । তখন পেত্নী কিছু বলতে পাল্লে না । তারপর যখন দর দর করে রক্ত পড়তে লাগলাে , তখন পেত্নী অনেক কষ্টে বল্লে , “ আঁর আঁমার পাঁ কাঁমানয় কাজ নেঁই রে , মাঁস তোঁলাইতে টেঁকলে বাঁচি । ” তখন নাপতিনী বল্লে , “ আর বেশী দেরি নেই , এইবার আলতা পরিয়ে দিচ্ছি । ” এই কথা বলে সেই রক্ত দিয়েই আত্মা পরানর মত করে দিল ।
তখন নাপ্তিনী বল্লে , ‘আমার কড়ি কই ? ’ পেত্নী তখন নাপতিনীর আঁচলে এক থালা কড়ি ঢেলে দিলে । নাপ্তিনীও কড়িগুলাে আঁচলে বেঁধে নিলে । তারপর সেই পেত্নী অতি কষ্টে একটা গাছে উঠলাে । গাছে উঠে পেত্নী মনে করতে লাগলাে , বাঃ বেশ । আলতা পরান হয়েছে ।
এদিকে যেমন পেত্নী গিয়ে গাছে উঠলাে অমনি নাপতিনী এক দৌড়ে ঘরে গিয়ে খিল দিলাে । তারপর পেত্নী উড়ে উড়ে শ্বশুরবাড়ী যেতে লাগলাে ।