বুদ্ধি হল শিক্ষার সীমারেখা নির্ধারক

🔘 ( 3 ) বুদ্ধি হল শিক্ষার সীমারেখা নির্ধারক :
শিক্ষা অর্জনের ক্ষমতা সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণীর গবেষণার দেখা গেছে যে , বিভিন্ন বুদ্ধ্যঙ্কসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের শিক্ষা অর্জনের ক্ষমতার একটা সীমা টানা যায় ।

( ক ) 70 – এর নীচে কিন্তু 50 – এর উপরে বুদ্ধ্যঙ্কসম্পন্ন শিক্ষার্থীগণ বিদ্যালয়ে পড়াশােনা করলে 10 – 11 বৎসর পর্যন্ত প্রথম শ্রেণিতেই থাকে । পরিবেশগত বিশেষ সুযােগসুবিধা পেলে তাদের মধ্যে কয়েকজন 14–15 বৎসরে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত উত্তীর্ণ হতে পারে ।

( খ ) 70 থেকে 85 – এর মধ্যে যাদের বুদ্ধ্যঙ্ক তাদের বেশিরভাগই পঞ্চম ও ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অর্জনে সক্ষম হয় । যথেষ্ট অনুশীলন ও বিভিন্ন রকমের সুযােগ – সুবিধা পেলে তারা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত উঠতে পারে ।

( গ ) 85 থেকে 115 – এর মধ্যে যাদের বুদ্ধ্যঙ্ক তাদের মধ্যে অনেকেই মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় । অল্প সংখ্যক অনুশীলন , পরিশ্রম ও অধ্যবসায়ের ফলে ডিগ্রি লাভ করে ।

( ঘ ) 115 – র অধিক বুদ্ধ্যঙ্কসম্পন্ন শিক্ষার্থীরা ভালাে শিক্ষার্থী বলে বিবেচিত হয় । অধ্যবসায় , পরিবেশগত সুযােগসুবিধা পেলে যে – কোনাে শিক্ষা গ্রহণে এরা সমর্থ ।

🔘 ( 4 ) পাঠকম নির্দেশনায় : বিভিন্ন পাঠক্রম , যথা — মানবিক , বিজ্ঞান , বাণিজ্যিক , বৃত্তিমূলক ইত্যাদিতে সাফল্যলাভে বিভিন্ন পরিমাণে বুদ্ধি ও বুদ্ধির অন্তর্গত বিভিন্ন শক্তিগুলির পরিমাপগত তারতম্য লক্ষ করা যায় ।

বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে প্রয়ােজন হয় Spatial ability , Reasoning ability , Perceptual ability ও Mechanical ability । আবার মানবিক পাঠক্রমে প্রয়ােজন হয় Verbal ability , Memory Word Fluency ইত্যাদির ।

বাণিজ্য বিভাগের জন্য প্রয়ােজন হয় Numerical ability , Memory , Reasoning ability ইত্যাদির । কোন্ শিক্ষার্থী কী ধরনের পাঠক্রম গ্রহণ করবে সে সম্পর্কে তথ্যাদি সংগ্রহ অত্যাবশ্যক ।

এ প্রসঙ্গে উল্লেখযােগ্য যে U.S.A.- তে জাতীয় একটি গবেষণায় বলা হয়েছে প্রযুক্তি , বিজ্ঞান , মানবিক ও বাণিজ্য শাখার জন্য বুদ্ধ্যঙ্ক প্রয়ােজন যথাক্রম —114 , 108 , 106 ও 104 ।

🔘 ( 5 ) বিশেষ শিক্ষার ক্ষেত্রে : শিক্ষার অন্যতম লক্ষ্য সমাজকল্যাণ । সমাজকল্যাণের ক্ষেত্রে প্রতিভাবানদের অবদান সব দেশেই স্বীকৃত । প্রতিভাবানদের বাছাই করে তাদের জন্য পৃথক শিক্ষাব্যবস্থা দেশের সার্বিক মঙ্গলের জন্যই করা হয় ।

এই অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে বুদ্ধির অভীক্ষা বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছে । প্রসঙ্গক্রমে , পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের বিশেষ শিক্ষার কথা উল্লেখ করা প্রয়ােজন । পিছিয়ে পড়া বা অল্প বুদ্ধিসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের বিশেষ ধরনের শিক্ষার ব্যবস্থা করে সুস্থ জীবনযাপনে তাদের সাহায্য করা সমাজের কর্তব্য ।

এই অল্প বুদ্ধিসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের বাছাইকরণে বুদ্ধি অভীক্ষার প্রয়ােজন অনুভূত হয় ।