পাকিস্তানের (Pakistan) অর্থনীতি যে দিন দিন খারাপ থেকে খারাপতর হচ্ছে তার আঁচ পাওয়া যাচ্ছিল বেশ কিছু দিন ধরেই। ইমরান সরকারের পতনের পর দেশবাসীর কাছে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এক বড়ো সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এবার মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে বৃদ্ধি পেতে চলেছে পেট্রোল, ডিজেলের দাম।
সরকার আর পেট্রোলিয়াম পণ্যে ভর্তুকি বহন করার অবস্থানে নেই, বুধবার পাকিস্তানের ফেডারেল অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল এই কথা জানিয়েছেন।
ইতিমধ্যেই, পেট্রোলের দাম ২৪.০৩ টাকা বৃদ্ধির ঘোষণা করেছেন তিনি। ২৪.০৩ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে পাকিস্তানে লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম দাঁড়ালো ২৩৩.৮৯ টাকা, যা সর্বকালীন রেকর্ড। ১৬ ই জুন থেকে, পেট্রোল প্রতি লিটার ২৩৩.৮৯ টাকা এবং ডিজেল ২৬৩.৩১ টাকায়, কেরোসিন তেল ২১১.৪৩ টাকায় এবং হালকা ডিজেল তেলের দাম ২০৭.৪৭ টাকায় বিক্রি হবে বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন।
মন্ত্রী মিফতাহ পূর্ববর্তী সরকারের নীতির সমালোচনা করেন এবং বলেন যে “ভর্তুকি দেশের অর্থনীতির অবনতি করেছে”। মিফতাহের কথায়, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ভর্তুকি দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে পেট্রোলের দাম কমিয়েছিলেন এবং বর্তমান সরকার সেই সিদ্ধান্তের খেসারত বহন করছে। এর পাশাপাশি, মন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইলের মতে, পাকিস্তান প্রতি লিটারে পেট্রোলে ২৪.০৩ টাকা, ডিজেলে ৫৯.১৬ টাকা, কেরোসিন তেলের ৩৯.৪৯ টাকা এবং হালকা ডিজেল তেলে ৩৯.১৬ টাকা ক্ষতি বহন করছে। তিনি আরো জানান যে, মে মাসে এই ক্ষতি ১২০ বিলিয়ন ছাড়িয়ে গিয়েছে!