পশ্চিমবঙ্গে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের সাধারণ প্রাথমিক শিক্ষার অন্তর্ভুক্ত করার উদ্দেশ্যে

📚 পশ্চিমবঙ্গের চিত্র :

📜 পশ্চিমবঙ্গে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের সাধারণ প্রাথমিক শিক্ষার অন্তর্ভুক্ত করার উদ্দেশ্যে , এ বিষয়ে দক্ষ NGQ- দের সাহায্য গ্রহণ করছে । বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের সাহায্য করার জন্য ব্লক পিছু তিনজন বিশেষ জ্ঞান ও দক্ষতাসম্পন্ন শিক্ষক ( Resource Teacher ) নিয়ােগের , জেলা স্তরের NGO- দের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে । এই NGO- দের বলা হয় DLRO ( জেলা স্তরের সম্পদকেন্দ্র ) । এরা মানসিক প্রতিবন্ধী , শ্রবণ সংক্রান্ত প্রতিবন্ধী ও দৃষ্টি – সংক্রান্ত প্রতিবন্ধীদের জন্য শিক্ষক নিয়ােগের ব্যবস্থা করেন । এর ফলে প্রতিবন্ধীদের বিদ্যালয় ধারণ দীর্ঘস্থায়ী হয় ।

📜পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া , বীরভূম , মুরশিদাবাদ , কোচবিহার ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় একটি করে ব্লকে প্রতিবন্ধীদের সমন্বিত শিক্ষাব্যবস্থা চালু হয় । এখন এই জেলাগুলিতে আরও ৪ টি ব্লকে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে । মােট ১৩৫ টি ব্লকের মধ্যে ২৫ টি ব্লকে এই কার্যক্রম চালু হচ্ছে । NGO- গুলির মধ্যে উল্লেখযােগ্য বাঁকুড়া সম্মিলনী দৃষ্টিহীনদের স্কুল । কেন্দুয়াডিহি বিকাশ সােসাইটি , শ্রী অরবিন্দ অনুশীলন সমিতি , সেন্ট জন অ্যাম্বুলেন্স অ্যাসােসিয়েশন অলকেন্দু বােধ নিকেতন , চাতরা শারীরিক প্রতিবন্ধী ও সামাজিক কল্যাণ প্রতিষ্ঠান , পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য প্রতিবন্ধী সম্মিলনী ইত্যাদি ।

🧾বিদ্যালয়ে ও বাড়ি বাড়ি খোঁজ করে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু চিহ্নিত করা হয় । এখন পর্যন্ত ( 2003 ) 8545 শিশুকে চিহ্নিত করা গিয়েছে । 4,336 জন শিশু বিদ্যালয়ে তালিকার্ভুক্ত হয়েছে ।

📜শিক্ষা সব শিশুর মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে । ভারতবর্ষে সর্বশিক্ষা অভিযানের উদ্দেশ্যই হল প্রারম্ভিক শিক্ষাকে সর্বজনীন করে তােলা । ১৯৯৫ সালের প্রতিবন্ধী ব্যক্তি সম্পর্কিত ধারায় ( The persons with disabilities Act Equal opportunities Protection of rights and full participation ) বলা হয়েছে প্রতিটি শিশুকে সর্বাপেক্ষা অনুকূল পরিবেশে সডার ব্যবস্থা করতে হবে । সেই কারণে স্বল্প ও মাঝারি প্রতিবন্ধী শিশুদের সাধারণ স্কুলে পড়াবার কথা এবং শিক্ষার সমন্বিতকরণের কথা বলা হয়েছে । বিশেষভাবে প্রতিবন্ধীদের বিশেষ স্কুলে পড়াতে হবে । জাতীয় মুক্ত বিদ্যালয় , পরিপূরক বিদ্যালয় , প্রথা বিমুক্ত বিদ্যালয় খুবই জনপ্রিয় হচ্ছে । এইভাবে সর্বশিক্ষা অভিযান কর্মসূচি চেষ্টা করছে যাতে একটি শিশুও যেন বিদ্যালয় শিক্ষার বাইরে থেকে না যায় , সকলকে যেন শিক্ষায় অন্তর্ভুক্ত করা হয় ৷”