ইতিহাস শিক্ষণের প্রাসঙ্গিকতা

✳️ সমাজের ধারাবাহিক অগ্রগতির কাহিনি : ইতিহাস হল মানুষ ও তার সমাজের অগ্রগতির কাহিনি । History is a study of man’s progress from his weak shady beginning to the splendour of his present position . ( Maitland )

✳️ অতীত , বর্তমান ও ভবিষ্যতের রূপরেখা : অতীতের আলােচনা , বর্তমানকে বিশ্লেষণ করতে ও ভবিষ্যতের পথনির্দেশ করতে ইতিহাসই একমাত্র আলাের দিশারি ।

✳️ অগ্রগামী দৃষ্টিভঙ্গি সৃষ্টিতে : ইতিহাস শুধুমাত্র সম্মুখবর্তী অগ্রগামী দৃষ্টিভঙ্গিদান করে না , চিন্তার দিগন্তকে করে উন্মােচিত , গড়ে তােলে সর্বব্যাপক দৃষ্টিভঙ্গি ।

✳️ সুনাগরিকত্ব সৃষ্টিতে ইতিহাসের ভূমিকা : সমাজে নাগরিকদের দায়িত্ব ও কর্তব্যবােধ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে এবং সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে ইতিহাস পাঠ অপরিহার্য ( Teaching of History in our school can be used for developing civic and moral sense in the students . ) |

✳️ সামাজিক গুণাবলির বিকাশ : সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি , যেমন — দয়ামায়া , পরধর্ম সহিষ্ণুতা , সহনশীলতা , সহযােগিতা , সহানুভূতি ইত্যাদি মানবিক গুণাবলির বিকাশ হয় ।

✳️ আন্তর্জাতিক সংবেদনশীলতা সৃষ্টিতে ইতিহাস : ইতিহাস পাঠের মাধ্যমে সংকীর্ণ জাতীয় চেতনার উর্ধ্বে উঠে ১৮ বিশ্বমানবতা বােধ ও আন্তর্জাতিক সৌভ্রাতৃত্ব বােধে শিক্ষার্থী অনুপ্রাণিত হয় ।

✳️ স্বাধীন চিন্তা , যুক্তি ও বিশ্লেষণ ক্ষমতা বৃদ্ধি : ইতিহাস পাঠের ফলে শিক্ষার্থীর মধ্যে যুক্তি , বিশ্লেষণ ক্ষমতা , নিরপেক্ষ চিন্তাধারার বিচার ইত্যাদি সামাজিক ক্ষেত্রগুলির বিকাশ ঘটে । মানসিক শৃঙ্খলারও উদবােধন সম্ভব হয় ।

✳️ পক্ষপাতহীন চিন্তার বিকাশ : ইতিহাসের বৈজ্ঞানিক অনুশীলনের মাধ্যমে নিরপেক্ষ , প্রণালীসম্মত চিন্তা ( The Me thodical Thinking ) , তথ্যের মূল্যায়ন ক্ষমতা , তুলনার দক্ষতা ইত্যাদি বৌদ্ধিক ক্ষেত্রের বিকাশ ঘটে । 9. নৈতিক চরিত্রের বিকাশ : ইতিহাসের সার্থক পাঠ নীতিবােধ সৃষ্টি করে । আদর্শ নৈতিক চরিত্রের বিকাশে ইতিহাসের নৈতিক মূল্য অসীম ।

✳️ সাংস্কৃতিক দৃষ্টিভঙ্গির বিকাশ : ইতিহাস পাঠের মাধ্যমে দেশের অতীত ঐতিহ্য , কৃষ্টি , সংস্কৃতির কথা জানা যায় ।

✳️ বৌদ্ধিক বৃত্তির বিকাশ : ইতিহাস পাঠের বৌদ্ধিক মূল্য অসীম । “ History , furnishes the child a splendid guide to a vast store house of knowledge . ” ইতিহাসের বিক্ষিপ্ত তথ্যকে সংগ্রহ করতে ( Collect ) , পরীক্ষা করতে এবং ঘটনাবলির মধ্যে ক্রমপরম্পরা বজায় রেখে সংগঠন স্থাপন করতে ( Correlate ) ইতিহাস পাঠের প্রয়ােজন ।

✳️ বিভিন্ন সমাজবিজ্ঞানের সঙ্গে সম্পর্কস্থাপন : মানুষ তার নিজের প্রয়ােজনে এবং সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রয়ােজনে গড়ে তুলেছে সাহিত্য , ধর্ম ও ধর্মীয় সংগঠন । রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রনীতি , শিক্ষা , বাণিজ্য ও অর্থনীতি ইত্যাদি বিষয়ের সঙ্গে ইতিহাসের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ । Johnson তাই মন্তব্য করেছেন , “ History with or without the name certainly has been ground for other social science .

✳️ ব্যক্তিত্বের বিকাশ : ইতিহাস পাঠে বহু মনীষী ও মহামানবের জীবন কাহিনি জানতে পারা যায় । ইতিহাসই শিক্ষার্থীর মধ্যে ব্যক্তিপূজার প্রবণতা তৈরি করে এবং এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীর ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটে ।

Related posts:

বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানীদের জীবন কথা
পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারী : 2024
চন্দ্রযান-3 : চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণকারী প্রথম দেশ ভারত
GENERAL STUDIES : TEST-2
GENERAL STUDIES : 1
কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স: 8ই সেপ্টেম্বর
'জ্ঞানচক্ষু' গল্পের নামকরণের সার্থকতা বিচার করো।
তপনের জীবনে তার ছোটো মাসির অবদান আলোচনা করো।
সমান্তরাল আলোকরশ্মিগুচ্ছ বলতে কী বোঝ ?
আলোকরশ্মিগুচ্ছ বলতে কী বোঝায় ? এটি কয়প্রকার ও কী কী ?
একটি সাদা কাগজকে কীভাবে তুমি অস্বচ্ছ অথবা ঈষৎ স্বচ্ছ মাধ্যমে পরিণত করবে ?
ঈষৎ স্বচ্ছ মাধ্যম কাকে বলে ? উদাহরণ দাও ।
অস্বচ্ছ মাধ্যম কাকে বলে ? উদাহরণ দাও ।
স্বচ্ছ মাধ্যম কাকে বলে ? উদাহরণ দাও ।
অপ্রভ বস্তুও কি আলোর উৎস হিসেবে কাজ করতে পারে?
বিন্দু আলোক - উৎস কীভাবে পাওয়া যেতে পারে ?
বিন্দু আলোক - উৎস ও বিস্তৃত আলোক - উৎস কী ?
অপ্রভ বস্তু কাকে বলে ? উদাহরণ দাও ।
স্বপ্নভ বস্তু কাকে বলে ? উদাহরণ দাও ।
দিনেরবেলা আমরা ঘরের ভিতর সবকিছু দেখতে পাই , কিন্তু রাত্রিবেলা আলোর অনুপস্থিতিতে কোনো জিনিসই দেখতে পা...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page