এসএসসি (SSC) চতুর্থ শ্রেণির কর্মী, এসএলএসটির (SLST) পর এবার ২০১৪ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগেও (Primary TET) সিবিআই তদন্ত। কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ চাকরি খোয়ালেন ২৬৯ জন। বেতন বন্ধ করার পাশাপাশি স্কুলে ঢুকতেও নিষেধ করা হল তাঁদের।
সোমবার এই রায় দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়।
বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে এই মামলার শুনানি চলছিল। সোমবার সেই শুনানি চলাকালীন বিচারপতির প্রশ্ন তোলেন, টেট পাস না করেও চাকরি কীভাবে? এবার সেই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার ভার সিবিআইয়ের (CBI) হাতে তুলে দিলেন বিচারপতি। পাশাপাশি, এই মামলার নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত নথি সংগ্রহ এবং সংরক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ন্যাশনাল ইনফরমেটিভ সেন্টারকে। তাদের সঙ্গে সিবিআইকে যোগাযোগের নির্দেশও দেওয়া হল।
এই মামলায় আজই বিকেল সাড়ে পাঁচটার মধ্যে প্রাইমারি শিক্ষা সংসদের সম্পাদক রত্না চক্রবর্তী বাগচী এবং সভিপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে সিবিআইয়ের মুখোমুখি হতে হবে। তদন্তে সহযোগিতা না করলে মানিক ভট্টাচার্যকে নিজেদের হেফাজতে নিতে পারবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
প্রসঙ্গত,
২০১৪ সালের প্রাইমারি টেটে দুর্নীতির অভিযোগ
উঠেছে। ২৬৯ জনের নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ২০১৬ সালে একটি প্যানেল প্রকাশিত হয়েছিল। পরে ২০১৭ সালে আরও একটি প্যানেল প্রকাশিত হয়। সেই প্যানেলেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, পরীক্ষা না দিয়েই মিলেছে চাকরি।
সম্প্রতি প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হওয়া অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণদপ্তরের প্রাক্তন মন্ত্রী উপেনের ফেসবুক পোস্টটি আদালতের নজরে আনেন মামলাকারীর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। যেখানে মন্ত্রী উপেন সরাসরি চন্দন মণ্ডলের নাম উল্লেখ না করলেও, জনৈক ‘
বাগদার রঞ্জন
‘এই দুর্নীতির হোতা বলে উল্লেখ করেছিলেন। সেই রঞ্জনের বিরুদ্ধেও সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।
২০১৪ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগেও (Primary TET) সিবিআই তদন্ত।
কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ চাকরি খোয়ালেন ২৬৯ জন।
বেতন বন্ধ করার পাশাপাশি স্কুলে ঢুকতেও নিষেধ করা হল তাঁদের।