প্রাকসক্রিয়তার স্তরের শিক্ষাগত তাৎপর্য :

“💠 প্রাকসক্রিয়তার স্তরের শিক্ষাগত তাৎপর্য :

🔷 প্রাক্‌প্রাথমিক এবং প্রাথমিক শিক্ষার্থীরা যাতে বস্তুকে উপযুক্তভাবে ব্যবহার করতে পারে সে ব্যাপারে শিক্ষক সর্বদা উদ্যোগী হবেন এবং যত বেশি সম্ভব শিক্ষার্থীদের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা অর্জনে সচেষ্ট হবেন । এই স্তরের শিক্ষার্থীরা যে সমস্ত বিষয় পছন্দ করে এবং যেগুলি দক্ষতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে ,

⭐️ তা নিম্নে উল্লেখ করা হল —

( i ) বিলম্বিত অনুকরণ ( Delayed imitation ):

প্রাক্সক্রিয়তা স্তরের শিক্ষার্থীরা পূর্বে প্রত্যক্ষ করা কোনাে কাজকে অনুকরণ করতে পারে ।

যেমন — চিড়িয়াখানা দেখা , কোনাে জন্তুর আচরণ নকল করতে পারা ইত্যাদি । একেই বলে বিলম্বিত অনুকরণ ।

( ii ) রূপক অভিনয় ( Mental acting ) :

শিশুরা ঘুমিয়ে পড়ার ভান বা নিজেদের অন্য কিছু ভাবতে ভালােবাসে ।

( iii ) অঙ্কন ( Drawing ) :

এই বয়সের শিশুরা তাদের কল্পনাগুলিকে অঙ্কনের মধ্যে রূপ দিতে ভালােবাসে ।

অঙ্কনের মধ্যে দিয়ে তাদের চিন্তা ও চিন্তার মাত্রার পরিচয় পাওয়া যায় । তাদের অঙ্কন প্রসঙ্গে কথাবার্তা বলতে উৎসাহ দিতে হবে ।

( iv ) মানসিক প্রতিকল্প ( Mental Image ) :

এই স্তরের শিশুরা মানসিক প্রতিকল্প গঠন করতে পারে , বিষয়বস্তুসমূহ প্রকাশ করতে পারে , কিন্তু বস্তু বা ঘটনাসমূহকে পরিবর্তন বা অনুমান করতে পারে না ।

( v ) ভাষা ( Language ) :

এই স্তরের শিশুরা চিন্তার বাহন হিসাবে ভাষাকে ব্যবহার করে ।
শিক্ষক , অভিভাবক সেজন্য এমন পরিবেশ রচনা করবেন যেখানে শিশুরা প্রাপ্তবয়স্কদের সঙ্গে কথা বলার সুযােগ পায় ।”