“⭐️ ক্রোমোজোমের অন্তর্ভুক্ত জিনের সাদৃশ্যের জন্যই পিতামাতার সঙ্গে সন্তানদের এবং একাধিক সন্তানদের ( সহােদর ভাইবােন ) মধ্যে সাদৃশ্য লক্ষ করা যায় ।
🔷 যে 46 টি ক্রোমোজোম শিশুর বংশধারার বাহক তার মধ্যে 23 টি আসে পিতার দিক থেকে এবং বাকি 23 টি আসে মাতার দিক থেকে ।
⭐️ সেই জন্য স্বাভাবিকভাবেই পিতামাতার সঙ্গে সন্তানদের সাদৃশ্য দেখা যায় |
🔷 আবার পিতামাতা তাদের পিতামাতার নিকট থেকে 23 টি করে মােট 46 টি ক্রোমােজোম নিয়ে এসেছে । সেই জন্য নাতি – নাতনিদের সঙ্গে তাদের দাদু – দিদিমার সাদৃশ্য থাকার সম্ভাবনা দেখা যায় ।
⭐️ কোনাে পিতামাতার একাধিক সন্তান থাকলে , যেহেতু একাধিক সন্তান একই পিতামাতার নিকট থেকে ক্রোমােজোম পেয়েছে সেইজন্য তাদের মধ্যে সাদৃশ্য থাকাই স্বাভাবিক ।
🔷 যমজ শিশু (Fraternal Twins) : সমকোশী যমজদের মধ্যে সাদৃশ্য সবচেয়ে বেশি কারণ এক্ষেত্রে একই নিষিক্ত ডিম্বকোশ দু – ভাগে বিভক্ত হয়ে দুটি কোশে পরিণত হওয়ার পর কোশ বিভাজন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দুটি পূর্ণাঙ্গ শিশুতে পরিণত হয় ।
🔷 এক্ষেত্রে দুটি শিশু হলেও সম্পূর্ণ একই বংশধারা নিয়ে আসে । যার ফলে একই বয়সে তাদের বৈশিষ্ট্যগুলি ( যেগুলি বংশধারা কর্তৃক নির্ধারিত ) একই হয় । এই সমকোশী যমজ শিশুদের দুটিই হয় পুত্র না হয় কন্যা হবে ।
🔷 সাধারণ যমজদের ক্ষেত্রে ( Fraternal Twins ) একই সময়ে স্ত্রীর দুটি ডিম্বকোশ দুটি পুং জননকোশ দ্বারা নিষিক্ত ( fertilised ) হয় । ফলে তারা দুটি পৃথক শিশু হিসাবে বড়াে হয়ে ওঠে । এদের ক্রোমােজোমগুলি ভিন্ন হওয়ায় বংশধারা পৃথক হয় অর্থাৎ তারা সাধারণ ভাই – বােনের মতাে বড়াে হয় ।
⭐️ এই ধরনের যমজ শিশু একটি পুত্র এবং একটি কন্যা হতে পারে ।
🔷 ব্যক্তির উপর বংশধারা ও পরিবেশের তুলনামূলক অধ্যয়নের ক্ষেত্রে সমকোশী যমজদের উপর পরীক্ষা করা হয় ।
🔷 ভিন্ন পরিবেশে এরা বড়াে হলে যদি এদের মধ্যে পার্থক লক্ষ করা যায় সেক্ষেত্রে তা সম্পূর্ণ পরিবেশের প্রভাব বলে মনে করা হয় ।
🔷 আর ভিন্ন পরিবেশে বড়াে হওয়া সত্ত্বেও যদি তাদের মধ্যে সাদৃশ্য দেখা যায় তাহলে তা বংশধারার প্রভাব বলেই মনে করা হয় ।”