“⏹ বৃদ্ধি ও বিকাশের নীতিগুলির শিক্ষাগত তাৎপর্য :
⏺ বৃদ্ধি ও বিকাশের নীতিসমূহ আমাদের নানা উপকারে আসে। সেগুলি আলোচনা করা হল —
1) মানুষের জীবন বিকাশের বিভিন্ন স্তরে বিকাশ বিরতিহীন এবং নিরবচ্ছিন্ন । তাই কোনো কারণেই ব্যক্তিত্বের বিভিন্ন দিকের বৈশিষ্ট্যের উন্নতির প্রচেষ্টা থেকে বিরত না হয়।
2) ব্যক্তিগত পার্থক্যের নীতি আমাদের সর্বদা মনে করিয়ে দেয় যে শিশুর বিকাশের বিভিন্ন স্তরে বৃদ্ধি ও বিকাশের পার্থক্য আছে। এ কথা স্মরণ করে আমাদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি শিশুকেই তার বিকাশের ক্ষেত্রে কোনো অসুবিধা দেখা দিলে প্রয়োজনমতো সহযোগিতা করতে হবে।
3) বৃদ্ধি ও বিকাশের নীতি অনুযায়ী শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশের একটি ধারা আছে । এর থেকে আমরা শিশুর আগামী দিনের বৃদ্ধি ও বিকাশ সম্পর্কে ভবিষ্যৎবাণী করতে পারি।
4) সাধারন থেকে বিশেষ এবং সমস্যাকরনের নীতি শিশুর শিখন প্রক্রিয়া এবং শিখন অভিজ্ঞতা বিন্যাসে সাহায্য করে।
5) মিথস্ক্রিয়া নীতি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে শিশুর ব্যক্তিত্ব বিকাশের ক্ষেত্রে বংশধারা ও পরিবেশের যৌথ ভূমিকা বর্তমান। যেহেতু বংশধারা আমরা পরিবর্তন করতে পারি না সেজন্য পরিবেশকে আরও উন্নত করতে হবে। পাশাপাশি এমন পরিবেশ রচনা করতে হবে যা শিশুর সম্ভাবনাগুলি বিকাশের পক্ষে অনুকূল হবে।
⏺ বৃদ্ধি ও বিকাশের ক্ষেত্রে প্রভাবশালী উপাদানসমূহ :
বৃদ্ধি ও বিকাশের ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তারকারী উপাদানগুলোকে প্রধানত দুইভাগে ভাগ করা যায়। অভ্যন্তরীন উপাদান এবং বাহ্যিক উপাদান।
☢️ অভ্যন্তরীন উপাদান :
1) জন্মগত সূত্রে প্রাপ্ত উপাদান।
2) জৈবিক ও গঠনগত উপাদান।
3) বুদ্ধি
4) প্রাক্ষোভিক উপাদান।
5) সামাজিক প্রকৃতি।
☢️ বাহ্যিক উপাদান :
1) মাতৃগর্ভে থাকাকালীন পরিবেশ। যেমন —
i) মাতার শারীরিক ও সামাজিক স্বাস্থ্য ।
ii) মাতার পুষ্টি ও কিভাবে পরিচর্যা মাতা পাচ্ছে , সন্তান প্রসব স্বাভাবিক না অস্বাভাবিক ইত্যাদি।
2) জন্মগ্রহণ করার পর পরিবেশ যেমন জীবনে কোনো বিশেষ ঘটনা বা দুর্ঘটনা ঘটেছে কিনা, প্রাকৃতিক পরিবেশ, চিকিৎসার সুযোগ এবং পরিচর্যার গুণগত মান, সামাজিক এবং কৃষ্টিগত সুযোগ-সুবিধাগুলির গুনগত মান ইত্যাদি।