তোমরা বোধহয় অনেকেই জান যে ভূতেরা শহর খুব বেশি ভালোবাসে না, তারা নির্জন জায়গা বেশি পছন্দ করে – যেখানে লোকজনের যাতায়াত খুব কম। তবে আমাদের যেমন একই জায়গায় বেশিদিন থাকতে ভালো লাগে না, ভূতদেরও তেমনি। তাই তারাও মাঝে মাঝে জায়গা বদল করতে চায়।
একবার একটা ভূত নেশার ঘরে হাওয়া বদল করতে গিয়ে কি ঝামেলায় না পড়েছিল ডুমুর দাড়ি গায়ের শেষ প্রান্তে যেখানে একটা নির্জন শ্মশান আছে সেখানে ভিন্ন থেকে নানা লোকে মরা পড়াতে আসে সেই শ্মশানের একেবারে শেষ প্রান্তে একটা বিরাট বেল গাছ আছে সেখানে নানান ভুতের আড্ডা বলে একটা ভূত থাকত এদের সঙ্গে নাচে তার কেউ ছিলনা গত অমাবস্যার রাতে শ্মশান কালী পূজার পর লোকেরা যে যার ঘরে ফিরে গেল একে অমাবস্যা তাতে আবার মুষলধারে বৃষ্টি নামল ভূতের আনন্দের আর সীমা নেই তারা তিড়িংবিড়িং শুরু করলো ইংলিশ রক এন্ড রোল থেকে হিন্দুস্তানি নাস পর্যন্ত নাচ দেখে অন্য ভূতেরা বলল বাবা তুই আসতে পারিস তুই চলে গেলে আমরা ল্যাংড়া হয়ে যাব এই নাচের মাঝখানে সবাই মৌজ করে 20-30 জ্বালা পানীয় গিলে ফেলল তাদের এই তোফা পানীয় তৈরি হয়েছিল অনেক যত্নে একশটা মরা মানুষের মাথা 1000 পাকা তাল ধুতরা ফুল একসঙ্গে গুলিয়ে ওঠে তার থেকে তৈরি নেশাটা সেদিন বেশ জমে উঠেছিল সে নিজের মনে ধরেছিল –
হাউ মাউ খাউ
মোদের তোফা পানীয়
আর কিছু দাও।
সঙ্গে সঙ্গে ভূতেরা আরো কিছু পানীয় গোল গোল করে তার গলায় ঢেলে দিলো ভুতের আরো স্পূর্থি বেড়ে গেল নেশার ঘোরে যে তার এই পরিচিত জায়গা ছেড়ে লম্বা লম্বা পা ফেলে অন্ধকারে হাঁটতে শুরু করল।
Continue……