হরপ্পা সভ্যতা

💠 হরপ্পা সভ্যতা :

◼️ মানব সভ্যতার কালানুক্রমিক বিভাগ :

⭐ পুরাতন প্রস্তর ( প্যালিওলিথিক ) যুগ ,
⭐ পরবর্তী প্রস্তর ( মেসােলিথিক ) যুগ ,
⭐ নব্য প্রওর ( নিওলিথিক ) যুগ ,
⭐ তাম্র – প্রস্তর ( চালকোলিথিক ) যুগ ।


◼️ হরপ্পা সভ্যতার আগের সময়কে বলা হয় তাম্র – প্রস্তর যুগ বা Chalcolithic যুগ । এই সময়ের সভ্যতার উদাহরণ মহারাষ্ট্রের জোরাউই বা মালব সংস্কৃতি ।

◼️ হরপ্পা সভ্যতার উৎপত্তির সঙ্গে মেসােপটেমিয়ার সংস্কৃতির যােগ রয়েছে বলে কেউ কেউ মত পােষণ করতেন । কিন্তু ওই অঞ্চলে হরপ্পা – পূর্ব সভ্যতার নমুনা ও এই ধ্বংসাবশেষের মধ্যে সভ্যতার বিবর্তনের যেসব নমুনা পাওয়া যায় , তাতে এটা এখন নিশ্চিতভাবে বলা যেতে পারে যে , হরপ্পা সভ্যতার উৎপত্তি দেশজ ।

◼️ হরপ্পা সভ্যতার প্রধান বৈশিষ্ট্য এর নাগরিক চরিত্র । প্রাচীর বেষ্টিত , বৃহৎ ও পরিকল্পিত নগরগুলি ছিল এই সভ্যতার কেন্দ্র । ইট নির্মিত বৃহৎ কাঠামাের নমুনাও পাওয়া গেছে ।

◼️ অর্থনীতি কৃষিকেন্দ্রিক হলেও দূর অঞ্চলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বাণিজ্যিক যােগাযােগ ও বিস্তৃত শিল্পোৎপাদনের নমুনা পাওয়া যায় ।

◼️ হরপ্পা সভ্যতার বাসিন্দাদের বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যায় না । এই সভ্যতার লিপির পাঠোদ্ধার এখনও সম্ভব হয়নি ।

◼️ 1750 খ্রিষ্টপূর্বাপের পর হরপ্পা সভ্যতার বৈশিষ্ট্যমূলক কোনও নমুনা পাওয়া যায় না । সভ্যতার অবসানের বিষয়ে বিভিন্ন মতবাদ রয়েছে — বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ , আর্যদের আক্রমণে নগরগুলির পতন ইত্যাদি ।