সামগ্রিক যােগাযােগ ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা

📚 সামগ্রিক যােগাযােগ ব্যবস্থার প্রধান সুবিধা হল , এই ব্যবস্থা বধির শিশুর কাছে বিভিন্ন পদ্ধতি তুলে ধরার সুযােগ করে দেয় । গবেষণার ফল থেকে জানা যায় যে , এই সামগ্রিক যােগাযােগ মনস্তাত্ত্বিক , ভাষাগত অথবা পড়াশােনা সম্পর্কিত যে – কোনাে বিকাশমান বধির শিশুর পক্ষে অত্যন্ত লাভজনক এবং ফলপ্রসূ ( Vernon & Andrews , 1990 ) । বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহারের ক্ষেত্রে যদি ফলটাই অধিক গুরুত্বপূর্ণ হয় ( কোন্ পদ্ধতি ব্যবহার করা হল তা নয় ) তাহলে বলা যায় সামগ্রিক যােগাযােগ দিকই সার্বিক মঙ্গল , কেন না এটি শিশুকে সেই পদ্ধতিই ব্যবহার করার নির্দেশ দেয় যেটা তার পক্ষে যে – কোনাে অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ভালাে ।

🧾 সামগ্রিক যােগাযােগ ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা ( Limitations of Total Communication Approacli ) : সামগ্রিক যােগাযােগ ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা হল —

( i ) প্রথম সীমাবদ্ধতা হল যে , এই যােগাযােগ ব্যবস্থা যতটা তাত্ত্বিক দিক থেকে সার্থক পরিস্থিতিগতভাবে ততটা ফলপ্রসূ হয় না ।

( ii ) অনেক বধির শিশু একত্রে এতগুলি যােগাযােগ পদ্ধতি ব্যবহার করে যে , শ্রেণিককে সবার জন্যে সাধারণ কিছু পদ্ধতি নির্বাচন করা অসম্ভব হয়ে ওঠে ।

( iii ) অধিকাংশ পদ্ধতি ইংরেজিতে তৈরি বলে এখানে পর্যায়ক্রমটি English বর্ণমালার ক্রম তানুযায়ী করা থাকে ।

( iv ) যেহেতু এক্ষেত্রে ব্যক্তিকেন্দ্রিক শিক্ষাদানই মূল বিষয় , তাই শ্রেণিকক্ষে একত্রিত শিক্ষার ক্ষেত্রে এটি অসুবিধাজনক ।

( v ) যারা কানে খাটো এবং যারা পুরাে বধির তাদের প্রত্যেকের একাধিক পদ্ধতির প্রয়ােজন , মােট পদ্ধতি শ্রেণিকক্ষে একজন শিক্ষকের ক্ষেত্রে পরিচালনা অসম্ভব হয়ে পড়ে ।

( vi ) এক্ষেত্রে তাই একাধিক শিক্ষক দরকার হয় । আমাদের দেশে একজন দক্ষ শিক্ষকই পাওয়া যায় না । সেখানে একাধিক শিক্ষক পাওয়া মুশকিল এবং অসম্ভব ।

( vii ) এই ব্যবস্থা শুধু বিদ্যালয়ে করলেই হবে না , বাড়িতেও অনুশীলন করাতে হবে । কিন্তু আমাদের দেশে সেই সুযােগ নেই ।