শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের শিক্ষার

📑 শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের শিক্ষার জন্য ইঙ্গিত ভাষা একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হলেও এটি ছাড়া অন্যান্য মাধ্যম ব্যবহৃত হয় । তাই বিভিন্ন মাধ্যমের সাহায্যে তাদের জন্য সম্পূর্ণ যােগাযােগ রক্ষা করার মতাে পরিস্থিতি তৈরি করাই সমন্বয়ন ব্যবস্থার প্রধান শর্ত । এই সম্পূর্ণ যােগাযােগ ব্যবস্থার অন্তর্গত হল — শিশুদের উপযােগী বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি , ইঙ্গিত ভাবা , আঙুলের সাহায্যে বানান , Speech reading , পঠন , লিখন ইত্যাদি । এ ছাড়া প্রত্যেক শিক্ষার্থী যাতে যে – কোনাে শব্দ সঠিকভাবে অনুধাবন করতে পারে , তার জন্য উপযুক্ত শব্দ বিবর্ধক ( Sound Amplifier ) ব্যবহার করা হয় । বর্তমানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই সম্পূর্ণ যােগাযােগ রক্ষা পদ্ধতি মেনে চলা হচ্ছে — এমনকি অভিভাবকদেরও শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুদের শেখানোর জন্য মৌখিক ভাষার পাশাপাশি ইঙ্গিত ভাষার ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে ।

🧾 যদিও শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুরা শিক্ষা ক্ষেত্রে সাধারণ শিশুদের সমকক্ষ হতে পারে না , তবুও সমন্বিতকরণের ক্ষেত্রে উভয়েরই জন্য একই পাঠক্রম অনুসরণ করা হয় । এই শিশুদের প্রতিবন্ধিতার মাত্রা অনুসারে তাদের শব্দভাণ্ডার বৃদ্ধি , বাক্য গঠন , ভাষার ব্যবহার ইত্যাদির জন্য ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতি প্রয়ােগ করা হয়।

🧾 এক্ষেত্রে বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে , কানে খাটো শিক্ষার্থীদের শিক্ষার জন্য সাধারণ মৌখিক ভাষাই ব্যবহার করতে হবে । ওষ্ঠপঠন , অঙ্গপ্রত্যঙ্গের অভিব্যক্তি তাদেরকে ভাষা বােকর ক্ষেত্রে সাহায্য করলেও , ভাষার বিকাশে ইঙ্গিত ভাযা বা ওষ্ঠপঠন পদ্ধতি অনুসরণ করা উচিত নয় । কারণ , তাদের অবশিষ্ট শ্রবণ ক্ষমতা ক্রমশ অব্যবহারের ফলে হ্রাস পেতে থাকবে এবং শ্রবণ ইন্দ্রিয়েরকার্যক্ষমতা পুরােপুরি লােপ পাবে ।

🧾শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুদের শব্দভাণ্ডার বৃদ্ধি করার জন্য নতুন নতুন শব্দ লিখিত এবং মৌখিক দুইভাবেই তাদের সামনে তুলে ধরতে হবে । এমনকি বিভিন্ন শব্দ বা বাক্যের পার্থক্য সম্পর্কে তাদের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা লাভের সুযােগ করে দিতে হবে । তবে শুধুমাত্র শেখানােই নয় , অর্জিত অভিবত তারা যাতে সঠিকভাবে প্রকাশ করতে পারে সেজন্য তাদের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া বাড়াতে হবে ।