প্রশ্ন : মানব প্রকৃতি ( Human Nature ) কাকে বলে ?
উত্তর :- মানুষের স্বতঃশ্চলতা , আত্ম – সক্রিয়তার সিদ্ধান্ত নিতে পারার ক্ষমতা , কর্মে প্রবৃত্ত হওয়া এবং তার দায়িত্ব সে নিজে বহন করতে পারে — এই ক্ষমতাকে মানবপ্রকৃতি বলে ।
প্রশ্ন : মানব প্রকৃতির অর্থ কী ?
উত্তর :- মানব প্রকৃতির অর্থকে দুটি দিক থেকে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে । যথা — অধিবিদ্যা বা Metaphysical এবং বিজ্ঞানভিত্তিক বা Scientific
প্রশ্ন : মানব প্রকৃতির সামাজিক ভিত্তি ( Sociological Basis of Human Nature ) বলতে কী বোঝোন ?
উত্তর :- মানুষের প্রকৃতি হল তার সামাজিক আচরণের ভিত্তি । সামাজিক আচরণের ভিত্তি হল সামাজিক প্রবৃত্তি । আধুনিক শিক্ষা – দার্শনিকদের বক্তব্য হল মানুষের সামাজিক আচরণের ভিত্তি সামাজিক প্রবৃত্তি কিনা তা না বিচার করে এই মনে করা আর যুক্তিপূর্ণ যে , মানুষ সর্বত্র সবসময়ে সামাজিক সম্পর্কের মধ্যেই অবস্থান করে , তা না হলে সদ্যোজাত শিশুর পক্ষে বড়ো হওয়া সম্ভব হত না ।
প্রশ্ন : একত্ববাদ কী ?
উত্তর :- মানব প্রকৃতি সম্পর্কে দ্বৈতবাদের তাত্ত্বিক ও ব্যাবহারিক সমস্যাকে দূরে রাখার জন্য শিক্ষা – দার্শনিকগণ এক ধরনের একত্ববাদের কথা বলেন । বিপরীতধর্মী দেহ – মন নিয়ে মানব প্রকৃতি গঠিত— এ ধারণার পরিবর্তে তারা মানব প্রকৃতি হয় পুরোপুরিভাবে দেহ বা পুরোপুরিভাবে মন নিয়ে গঠিত — এই ধারণার একান্ত পক্ষপাতী । এইভাবে কোনো কেনো প্রকৃতিবাদী দার্শনিক মানসিক ক্রিয়াকলাপকে দৈহিক ক্রিয়াকলাপের রূপ দিতে চান ।
প্রশ্ন : মানবপ্রকৃতির মৌলিক দিকগুলি কী কী ?
উত্তর :- ও মানব প্রকৃতির মৌলিক দিকগুলি হল — ক্ষমতা ( Power ) , গতিশীলতা ( Mobility )
প্রশ্ন : অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষার দুটি বৈশিষ্ট্য লিখুন ।
উত্তর :- অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল—
( 1 ) নিয়ন্ত্রণহীন শিক্ষা : অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল এই শিক্ষায় কোনোরকম প্রথাগত নিয়ন্ত্রণ থাকে না । শিক্ষার প্রধান চারটি উপাদান , তথা শিক্ষার্থীই কেবল এই শিক্ষায় প্রাধান্য পায় এবং বাকি তিনটি উপাদানের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয় না ।
(2) প্রাসঙ্গিক জ্ঞান অর্জনে সহায়তা : এই ধরনের শিক্ষায় শিক্ষার্থী বিভিন্ন বিষয় সম্বন্ধে প্রাসঙ্গিক জ্ঞান লাভ করে । এতে শিক্ষার্থী নিজের ইচ্ছা ও প্রয়োজনমতো জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে ।