বাংলা-মধ্যপ্রদেশ (Bengal vs Madhya Pradesh) সেমিফাইনালের তৃতীয় দিনের শেষে চোখ বন্ধ করে বলে দেওয়া যায় রনজি ট্রফির (Ranji Trophy) সেমিফাইনালে এগিয়ে মধ্যপ্রদেশই। পাঁচ দিনের খেলা। হাতে এখনও দু’দিন বাকি। ফলে প্রত্যাঘাত করার সুযোগ থাকছে বাংলার বোলারদের সামনে।
তৃতীয় দিনের শেষে মধ্যপ্রদেশের রান ২ উইকেটে ১৬৩। দিনের শেষে মধ্যপ্রদেশ এগিয়ে ২৩১ রানে।
দ্বিতীয় দিনের শেষে বাংলার রান ছিল ৫ উইকেটে ১৯৭ রান। অপরাজিত ছিলেন মনোজ তিওয়ারি (Manoj Tiwary) (৮৪) ও শাহবাজ আহমেদ (Shahbaz Ahmed) (৭২)। তৃতীয় দিনের শুরু থেকেই সবার নজরে ছিলেন বহু যুদ্ধের ঘোড়া মনোজ ও শাহবাজ। নিন্দুকরাও জানতেন একমাত্র মনোজের ব্যাটই বাংলাকে নিয়ে যেতে পারে বহুদূরে। রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মনোজ সেঞ্চুরি হাঁকালেন। সেঞ্চুরির পরে পকেট থেকে একটি কাগজ বের করে ক্যামেরার সামনে দেখান মনোজ। স্ত্রী এবং পুত্রের উদ্দেশে বার্তা লেখা ছিল সেই কাগজে। কিন্তু সেঞ্চুরিকে আরও বড় ইনিংসে পরিণত করতে পারলেন না তিনি।
মনোজ তিওয়ারি সুইপ অস্ত্রে এতক্ষণ ঘায়েল করেছিলেন মধ্যপ্রদেশের বোলারদের। কিন্তু সেই সুইপ শট মারতে গিয়েই মনোজ তিওয়ারির ইনিংস শেষ হয়ে গেল। অসম্ভব লড়াকু একটা ইনিংস যখন শেষ হয়ে গেল তখন স্কোর বোর্ড বলছে বাংলার রান ৬ উইকেটে ২৩৭ রান। পাঁচ উইকেটে ৫৪ থেকে মনোজ ও শাহবাজ আহমেদ জুটিতে ১৮৩ রান যোগ করেন।
মনোজ আউট হওয়ার পরে দ্রুত উইকেট পতন হয় বাংলার। সায়ন মণ্ডল (০), প্রদীপ্ত প্রামাণিক (৩) দ্রুত ফিরে যান। অন্য প্রান্তে দাঁড়িয়ে থেকে শাহবাজ দেখছিলেন দলের বিপর্যয়। শাহবাজও রনজি ট্রফিতে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি করে ফেলেন। ব্যক্তিগত ১১৬ রানে তিনি আউট হন। আকাশ দীপ ফেরেন ৫ রানে। বাংলার ইনিংস থেমে যায় ২৭৩ রানে। ৬৮ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে মধ্যপ্রদেশ। হিমাংশু মন্ত্রী ও যশ দুবের উইকেট খুইয়ে দিনের শেষে মধ্যপ্রদেশ করে ২ উইকেটে ১৬৩ রান। ক্রিজে রয়েছেন রজত পাতিদার (৬৩) ও আদিত্য শ্রীবাস্তব (৩৪)। দ্বিতীয় দিনের শেষে যে সোনালি রেখা দেখা যাচ্ছিল, তার ছিঁটেফোঁটাও অবশিষ্ট নেই তৃতীয় দিনের শেষে। খুব বিরাট কোনও অঘটন না ঘটলে, বাংলার পক্ষে যে সেমির গণ্ডি অতিক্রম করা সম্ভব হবে না এবার, তা নিশ্চিত।
বাংলার প্রথম ইনিংস শেষ হয়ে যায় ২৭৩ রানে।
তৃতীয় দিনের শেষে মধ্যপ্রদেশ এগিয়ে ২৩১ রানে।