বাসায় এসে দেখি তালা।এর মানে কি আম্মু কই দেখলাম পাশের বাসার আন্টি আসছে বাবা রাফা তুর আম্মু তুর নানুর বাড়িতে গিয়েছে আর আমাকে বাসার চাবি দিয়েছে আর খাবার সব রান্না করা আছে। আর কোন কিছুর প্রয়োজন হল আমাকে ডাকিস । বলে চলে গেল এর মানে আজ সারারাত মাস্তি হবে বাসায় আমি একা আর কেউ নেই আব্বু বিদেশ থাকে নো টেনশন আমি একাই একশ।দুপুরে গোসল করে খাবারটা খেয়ে নিলাম একা একা এই সময়য় বোরিং লাগে তাই মাহির সাথে দেখা করতে গেলাম।দেখি জানলার ধারে কি যেন করছে আমি ঢাক দিলাম। মাহি…. আমাকে দেখে ভিতরে আস।দেরি না করে চলে গেলাম। গল্প অনেক শেষ হওয়ার নাম নেই আর আন্টি ও আমাকে ভালবাসে এত মমতা মনে হয় আর কেউ করবেনা।মাগরিবের আজান দিচ্ছে এর মানে বাসায় কখন যাব আমার মনে ছিলনা বাসায় আম্মু নেই তাড়াতাড়ি বাসায় পৌঁছলাম তার পরে ব্যাপারটা মাথাই আসল।আম্মু নেই তাই পড়ার চিন্তাও নেই টিভিটা চালু করলাম এসময় আমার প্রিয় সিরিয়াল শনি দেখছিলাম শনির সাথে রাহুর মারামারি আরম্ভ অনেক অগ্রাহ্য নিয়ে দেখছিলাম হঠাৎ কারেন্ট চলে গেল। এমনে গেলে বাতি আম্মু জ্বালায় কিন্তু এসময় তো আর আম্মু নেই তাই আমাকে জালাতে হল। বাতি জ্বালিয়ে যেই বসলাম এমনি কি যেন অদ্ভুত আওয়াজ আসছে। চাজ লাইট নিয়ে এগিয়ে গেলাম আম্মুর রুমে কিছু তো নেই। শুধু শুধু ভয় পাওয়া গিয়ে সোফাই বসলাম আমি যেখানে বসেছি সেই জাইগা দেখি ঠাণ্ডা অদ্ভুত কেউ বসলে যেখানে গরম হওয়ার কথা এখানে তার বিপরীত পেঠে ডাকছে খাবার সব ফ্রিজে রাখা তাই গরম করার জন্য বের করবো তাই ফ্রিজ খুললাম দেখি আস্ত একটা মাথা কাটে সাজিয়ে রেখেছে।আমি ভয়ে ছিটকে পরে গেলাম আবার এসে দেখি মাথাটা নেই ভয় খাটল দিরে দিরে খাবার গুলো বের করে কিচেনে চলে এলাম।চুলা জ্বালিয়ে গরম করছি কে যেন কলিং বেল দিল চুলা ছোট করে লাইট নিয়ে ভয়েভয়ে এগচ্ছি দরজা খুলে দেখি কেউ নেই। বেল কে দিল তিন তালাই নতুন ভাড়াটে এসেছে ওদের কাজ দরজা বন্ধ করে রান্নাঘরে এসে দেখি চুলার আগুন বাড়ানো আমি যাওয়ার সময় কমিয়ে দিয়েছিলাম তাহলে বাড়ল কি করে।তাড়াহুড়া করে নিভিয়ে দিলাম আলো আসতে মনের মাঝের সাহস ফিরে এল।সমস্ত ঘর একবার চেক করে নিলাম সব ঠিক। এবার টিভি নিয়ে বসলাম টিভি অন করতে ভূতের মুবি রিমুটনিয়ে চেইঞ্জ করলাম।কিছুক্ষণ টিভি দেখে অফ করে দিলাম ঘড়িতে ৯:৩০ ডিনারটা করে নিলাম মাঝের রুমের লাইট জ্বালিয়ে ঘুমাতে চলে গেলাম।আমি প্রতিদিন আমার রুমের লাইট অফ করে ঘুমায় আজ ও তার ব্যাতিক্রম না।ছোট কাল থেকে আমার এই অভ্যাস লাইট থাকলে ঘুম হয়না।লাইট অফ করে জানলা বন্ধ করে ঘুমিয়ে গেলাম।ঠাণ্ডা বাতাসে ঘুম ভাঙ্গল চোখ খুলে দেখি জানলা খুলা এটা আমি ঘুমানোর আগে অফ করেছিলাম খুললো কি করে।আমি হয়তো বন্ধ করতে ভূলে গিয়েছি উঠে জানলাটা বন্ধ করে দিলাম।বিছানায় শুতে যাব দেখি খাটের নিচে কি যেন কচুমচু শব্দ করতেছে লাইট জ্বালিয়ে রুম আলোকিত করলাম কিন্তু খাটের নিচে দেখা যাচ্ছে না মোবাইলের ফ্লাশটা অন করে নিচে নিচের দিকে দেখতে কালো চেহারার মুখ দিয়ে কালির মত লালা বের হচ্ছে।আমার ভয়ে হাত-পা কাপতে লাগল।
ভয়ে ভয়ে আবার খাটের নিচে দেখতে লাগলাম যেমনটা মনে করেছিলাম তেমন কিছু নেই মনের ভূল হবে হয়তো।ঘড়ির দিকে থাকাতে মনটা ধরপর শুরু হয়ে গেল ১১ টা এখন তো ৯:৩০টা ছিল তাড়াতাড়ি জানলা অফ করে বাসার দরজা লক করে দিয়ে লাইট অফ করে বিছানাই চলে গেলাম।বিছানাই ঘুমালে আমার ঘুম চলে আসে কিন্তু আজ কেন জানি ঘুম আসছে না ১ ঘন্টা হয়ে গেল। হঠাৎ কি যেন শব্দ শুনা যাচ্ছে বুঝতে পারছিনা।শব্দটা ৫ মিনিট পর পর আসতেছে কিছু বুঝতে পারছিনা। এত রাতে এমন শব্দ কে করবে?শব্দটা শুনার পর জানার জন্য curious হয়ে আছি?বিছানা ছেড়ে উঠে আলো জালিয়ে দিলাম।শব্দটা অনুকরণ করে এগিয়ে গেলাম ডাইনিং রুমের ছাদের উপরে একটা বিড়াল।এই বিড়ালের জন্য ১ ঘন্টা ঘুম বরবাদ করলাম।নিজেকে দেখে নিজে মারতে ইচ্ছা করছে এত ভিতু নাকি ভিতুরডিম? বুঝতে পারছিনা।রাত ১টা দেরী না করে বিড়ালটাকে তাড়িয়ে বিছানাই শুয়ে পরলাম।বিচানাই শুতে চোখ লেগে আসল কিছু একটা পরার শব্দে ঘুম ভাঙ্গাল বিড়ালটা আবার এসেছে নাকি?বাত দিয়ে ঘুমাতে চেষ্টা করলাম কিছু সময় পরে আবার কি যেন পরে ভেঙ্গে গেল।বিছানাছেড়ে উঠবো কারেন্টটা চলে গেল কিন্তু রুমটা অন্ধকারনা।বাহিরের দিক থেকে আলো আসছে হাল্কা।রুমের চেয়ার টেবিল সব দেখা যাচ্ছে কিন্তু এটা কি?মানুষের মত কি একটা যেন বাসায় ঘুরাঘুরি করছে।ভাল করে দেখার জন্য উঠে বসলাম কিন্তু সত্যি কি যেন হাটছে ঠিক স্পষ্ট ভাবে বুঝা যাচ্ছেনা।আমি ভয়ে চিৎকার দিচ্ছি কিন্তু মনে হয় চিৎকারটা আমি ছাড়া আর কেউ শুনেনি।
ওই মানুষটা এক পা এক পা করে আমার কাছে চলে এসেছে। আমি আমার সব শক্তি দিয়ে চিৎকার করার চেষ্টা করছি কিন্তু শব্দটা আমার মূখ দিয়ে বের হচ্ছেনা।আমি আর নে পেড়ে পালানোর কথা চিন্তা করলাম।কিন্তু একি আমার হাত-পা কিছুতো নাড়াচাড়া করতে পারছিনা।আমি মরার মত শুয়ে আছি চোখ ছাড়া শরীলের অন্য কোন পাট কাজ করছেনা।মানুষটা আমার সামনে আসল এখন তার চেহরা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল। এই তো তখন এর দানবটা তার সামনের দুইটা দাত বের হয়ে এসেছে। হাতের নকগুলো অনেক বড় মনে হয় গত ৫০ বছর সে নক কাটেনি। তার শরীল থেকে একটা বিশ্রী গন্ধ আসছে আমার মূখ যদি খুলা থাকত তা হলে এতক্ষনে আমি বমি করে দিতাম।সেই তার বড় নক দিয়ে আমার বাহু ধরল।আর একটা হাত আমার শরীলের মধ্যেখানা রেখে একটা চাপ দিতে পেটের ভিতর যা আছে সব বের হয়ে গেল।আমার শরীলটা ব্যথাই জ্বলছে। আর একটা চাপে দিল তার ধারালো নক দিয়ে আমার হৃৎপিন্ডের উপর তখন আমি বিকৎ একটা চিৎকার দিয়ে বিছানা ছেড়ে উঠে গেলাম।আম্মু দৌড়ে এসে জিজ্ঞাস করল কি হয়েছে? এর মানে আমি বেঁচে আছি?এটা স্বপ্ন?