■ ভালাে কথাবার্তা শেখানাের কৌশল :
( ক ) কথােপকথন : কথােপকথনের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের মুখের ভাষার ভুল প্রয়ােগকে চিহ্নিত করে শুদ্ধরুপ শেখানাে দরকার।
( খ ) আলােচনা : আলােচনা করার সময় কোনাে শিক্ষার্থী আঞ্চলিক বা কোনাে অসংগত শব্দ ব্যবহার করলে তা শুধরে দেওয়া দরকার ।
( গ ) বক্তৃতা : বক্তৃতাকালে কোনাে অশিষ্ট শব্দ বা অপ্রচলিত শব্দ ব্যবহৃত হচ্ছে কি না সে বিষয়ে লক্ষ রাখবেন শিক্ষক ।
( ঘ ) সরব পঠন : শ্রেণিকক্ষে সরব পাঠকালে শিক্ষার্থীদের উচ্চারণ যথাযথ হচ্ছে কি না তা দেখতে হবে । পাঠের সময় যেন বিষয়ের ‘ ভাব ও আবেগ ‘ ঠিক রেখে পড়তে পারে সেদিকেও নজর দিতে হবে ।
( ঙ ) আবৃত্তি : আবৃত্তি করাকালীন উচ্চারণের কোনাে ভুল – ত্রুটি নজরে পড়লে তা সংশােধন করে দিতে হবে ।
( চ ) নাটকের সংলাপ : নাটকের সংলাপ উচ্চারণের সময়ে শব্দ ঠিকমতাে উচ্চারিত হচ্ছে কি না , মুখের ভাবভঙ্গি ও অঙ্গভঙ্গি ঠিক হচ্ছে কি না তাও নজর রাখা জরুরি ।
( ছ ) ছড়া : ছড়া পরিবেশনকালে যাতে নির্দিষ্ট ছন্দ , ভঙ্গিমা বজায় থাকে তা দেখতে হবে ।
( জ ) অনুষ্ঠান পরিচালনা ও ঘােষণা : অনুষ্ঠান পরিচালনা ও ঘােষণার সময় যথাযথ রীতি মেনে পরিবেশন বাঞ্চনীয় । এক্ষেত্রে অনুরােধ জ্ঞাপন , অভ্যর্থনা জ্ঞাপন , দুঃখপ্রকাশ , ধন্যবাদ প্রদান প্রভৃতি যথাযথভাবে করা আবশ্যক।
( ঝ ) গল্প পরিবেশন : গল্প , রূপকথা প্রভৃতি পরিবেশনের একটা বিশেষ রীতি অবলম্বন করা হয় । যেমন —
সে অনেক অনেক …….. দিনের কথা !
বা এক ছিলেন মস্ত …….. বড়ো রাজা !
আবার ভূতের গল্প বলার সময় ছমছমে পরিবেশ তৈরি করে কথার বিনুনি সাজিয়ে গল্প বলতে হবে । গল্প কথনের এই কৌশলটি আয়ত্ত করা জরুরি ।
( ঞ ) সাধু ও চলিত রীতির ব্যবহার : কথা বলা বা কোনাে আলােচনার সময় যাতে তারা সাধু রীতির সঙ্গে চলিত রীতি মিশিয়ে না ফেলে সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে কোথায় তাদের ভুল হচ্ছে তাও বিশেষভাবে দেখিয়ে দিতে হবে ।
একটা কথা মনে রাখা দরকার , শৈশব থেকেই ভাষা ব্যবহার সম্পর্কে যত্ন নেওয়া হলে এক সময় তারা ভাষা ব্যবহারে নৈপুণ্য অর্জন করতে পারবে। এসব দীর্ঘ অনুশীলন ও ধৈর্য সাপেক্ষ।