“⏹ দৈহিক বিকাশ : বয়ঃসন্ধিক্ষণ ( 11/12 বৎসর থেকে কুড়ি বৎসর ) :
💡বয়ঃসন্ধিক্ষণের কিশোর-কিশোরীদের দেহে ব্যাপক দৈহিক পরিবর্তন ঘটে, যা তাদের আচরণকে বিশেষভাবে প্রভাবিত করে।
💡13 থেকে 17 বছর বয়সের মধ্যে গড়ে 15 বৎসর বয়সে উচ্চতা হঠাৎ যেন বৃদ্ধি পায়।
💡উচ্চতার ক্ষেত্রে লিঙ্গগত পার্থক্য দেখা যায়। কিশোরীদের থেকে কিশোররা উচ্চতা ও ওজনে ছাপিয়ে যায়।
💡কিশোরীদের পেলভিস হাড় চওড়া হয় এবং কবজি গোলাকার হয়। হাত ও পায়ের বৃদ্ধি ঘটে এবং সর্বাঙ্গ খুব কোমল হয়।
💡কিশোরদের কাঁধ চওড়া হয়। কিশোরদের মধ্যে গলার স্বরের পরিবর্তন ঘটে।গলার স্বর মোটা ও কর্কশ হয়।
💡অন্যদিকে এই বয়সে কিশোরীদের গলার স্বর সরু এবং মধুর হয়। অনেক সময় গলার স্বরের পরিবর্তন আচরণের উপর প্রভাব ফেলে।
💡কিশোর-কিশোরীদের যৌনগত ব্যাপক পরিবর্তন দেখা যায়। কিশোরদের মধ্যে শুক্র উৎপাদন ক্ষমতা জন্মে। কিশোরীরা রজস্বলা হয়।
💡বয়ঃসন্ধিক্ষণে শারীরিক ক্ষমতা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। পেশীশক্তির বৃদ্ধি ঘটে, কাজে সক্রিয়তা বৃদ্ধি পায়।
💡সমীক্ষায় দেখা গেছে, শারীরিক কার্যাবলীর দিক থেকে কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে যথেষ্ট পার্থক্য বর্তমান। যেসব কাজে পেশীশক্তির প্রয়োজন হয় সেই সব কাজে কিশোরীদের থেকে কিশোরেরা অনেক ভালো ফল দেখায়। কিশোরদের শারীরিক কাজের প্রতি আগ্রহ দেখা যায়। কিশোরীদের এসব ব্যাপারে আগ্রহ খুব কম থাকে।
💡এই চলন ক্ষমতার বৃদ্ধি অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করে। বয়ঃসন্ধিকালের জনপ্রিয়তা — বুদ্ধি এবং শ্রেণিকক্ষের পারদর্শিতা অপেক্ষা যেসব কাজে শারীরিক ক্ষমতার প্রয়োজন তার উপর নির্ভর করে। শারীরিক শক্তি এবং অ্যাথলেটিক্স এ পারদর্শিতা – ব্যক্তিত্ব বিকাশে প্রভাব বিস্তার করে।
💡দুর্বল শারীরিক ক্ষমতাসম্পন্ন কিশোরদের সামাজিক অভিযোজনও দুর্বল হয়। ফলে তাদের মধ্যে দুশ্চিন্তা দেখা দেয় এবং তারা হীনমন্যতার শিকার হয়।
( যে প্রশ্নগুলোর উত্তর এখানে পাচ্ছো না,
তার জন্য পরের পার্টগুলো পড়ে নাও, তারপর আবার উত্তরগুলি করার চেষ্টা করো। ) “