(ক) ব্যক্তির সম্ভাবনাগুলি সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জন করা:
প্রথমেই প্রয়োজন হলো প্রতিটি শিক্ষার্থীর ক্ষমতা, আগ্রহ ,প্রবণতা এবং ব্যক্তিত্বের সংলক্ষন গুলি সম্পর্কে সঠিক তথ্যসংগ্রহ করা l এর জন্য বিভিন্ন ধরনের অভীক্ষা ব্যবহার করে প্রাপ্ত তথ্যগুলিকে সর্বাত্মক বিবরণী পত্রে উল্লেখ করতে হবে l
(খ) ক্ষমতা অনুযায়ী শ্রেণিবিভাগ করা :
উপরিউক্ত তথ্যগুলির ভিত্তিতে সমক্ষমতাসম্পন্ন ও সমআগ্রহের প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের শ্রেণীকরণ করে বিজ্ঞানসম্মতভাবে পাঠদান করা যায় । এর ফলে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষার্থীরা উপকৃত হয় ।
( গ ) সঠিক পাঠক্রম নির্দিষ্ট করা:
সমস্ত ধরনের শিক্ষার্থীদের কথা স্মরণ করে বিষয় সম্পর্কিত পাঠক্রম , শিখন কর্মসুচি ও সহপাঠক্রমিক কার্যাবলি নমনীয় এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ করতে হবে । এর ফলে সমস্ত ধরনের শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে এবং নিজেদের ক্ষমতা ও আগ্রহ অনুযায়ী পাঠক্রমের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া করার সুযােগ পাবে ।
( ঘ ) সঠিক শিক্ষণ পদ্ধতি স্থির করা :
শিক্ষার্থীদের ক্ষমতা , আগ্রহ , পূর্ব অভিজ্ঞতা এবং পশ্চাৎপট অনুযায়ী শিক্ষক প্রয়ােজন অনুসারে শিক্ষণ পদ্ধতি ব্যবহার করবেন । এর জন্য শিক্ষককে স্বাধীনতা দিতে হবে । শিক্ষকের পাঠদান পদ্ধতি নমনীয় হবে । পরিবেশ , পরিস্থিতি ও শ্রেণিচরিত্র বিশ্লেষণ করে তাঁকে উপযুক্ত শিক্ষণ পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে ।
( ঙ ) ব্যক্তিকেন্দ্রিক শিক্ষণ পদ্ধতি ব্যবহার করা :
বিদ্যালয়ে শিক্ষক ব্যাপ্তিভিওিক শিক্ষণ ব্যবহার করতে পারেন । যেমন — ডালটন পদ্ধতি, উইনেটকো পদ্ধতি , প্রজেক্ট পদ্ধতি বা প্রােগ্রামভিত্তিক শিখন উপকরণ ইত্যাদি ।
( চ ) ব্যক্তিভিত্তিক শিক্ষণ পদ্ধতির বিশেষ কিছু কৌশল প্রয়ােগ করা :
ব্যপ্তিভিত্তিক শিক্ষণের ক্ষেত্রে শিক্ষক নিম্নলিখিত কৌশলগুলি ব্যবহার করতে পারেন —
( 1 ) শ্রেণিকক্ষের ছাত্র সংখ্যা যতটা সম্ভব কম হবে ।
( 2 ) শিক্ষকসব শিক্ষার্থীদের প্রতি নজর দেবেন ।
( 3 ) শ্রেণীর কাজ এবং বাড়ির কাজ দেওয়ার সময় শিক্ষক প্রতিটি শিক্ষার্থীর ক্ষমতা বিবেচনা করবেন l
( 4 ) শিক্ষক প্রয়োজনমতো কম মেধাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের সংশোধনী শিক্ষা ব্যবস্থা করবেন l