বংশধারা ও পরিবেশের শিক্ষাগত তাৎপর্য

“💠বংশধারা ও পরিবেশের শিক্ষাগত তাৎপর্য(Educational significance of heredity and Environment):

ক্ষমতা, গুণাবলী এবং ব্যক্তিত্বের সংলক্ষনের ক্ষেত্রে ব্যক্তিতে – ব্যক্তিতে পার্থক্য একটি প্রাকৃতিক ঘটনা l বংশধারা ও পরিবেশের প্রভাবই এই ব্যাক্তিগত পার্থক্যের কারণ স্বাভাবিকভাবেই শিক্ষাক্ষেত্রে এর বিশেষ তাৎপর্য অনুভূত হয় l শিক্ষক তার কর্মক্ষেত্রেঅর্থাৎ পাঠদান এবং শিখন কর্মসূচি পরিকল্পনায় এই বিষয়ে অর্থাৎ ব্যক্তিগত পার্থক্যের ক্ষেত্রে বিশেষ জ্ঞান অর্জনের সচেষ্ট হবেন l
নিম্নোক্ত ক্ষেত্রে তাদের সচেতন হতে হবে—

(1) শিক্ষককে বুঝতে হবে শ্রেণিকক্ষে অধিকাংশ শিক্ষার্থী গড় ক্ষমতাসম্পন্ন হলেও কিছু শিক্ষার্থী আছে যারা অত্যন্ত বুদ্ধিমান , আবার কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী আছে যারা নিম্নবুদ্ধিসম্পন্ন ।

(2)শিক্ষককে বুঝতে হবে সমস্ত শিশুদের থেকে একই সম্ভাবনা প্রত্যাশা করা উচিত নয় । শিশুদের ক্ষমতা , প্রবণতা , আগ্রহ , মনােভাব , ব্যপ্তিত্বের সংলক্ষণ প্রভৃতি বিচার করে প্রত্যাশা স্থির করতে হবে । পাশাপাশি প্রতিটি শিশুর অন্তর্নিহিত সম্ভাবনাগুলি যাতে সর্বোচ্চ মাত্রায় বিকশিত হতে পারে সে ব্যাপারে শিক্ষককে বিশেষ নির্দেশনা দিতে হবে l

(3) একই পাঠ্যক্রম এবং একই শিক্ষণ পদ্ধতি দ্বারা প্রতিটি শিশু উপকৃত হয় না l”