“⭐️ বংশধারার কৌশল ( Mechanisms of Heredity ) : প্রাণীর প্রতিটি কোশ সমসংখ্যক ক্রোমােজোম দিয়ে তৈরি ।
🔷 নির্দিষ্ট প্রাণীর ক্ষেত্রে ক্রোমােজোমের সংখ্যা নির্দিষ্ট থাকে এবং বিভিন্ন প্রাণীর ক্ষেত্রে ক্রোমােজোমের সংখ্যা ভিন্ন ।
🔷 মানুষের ক্ষেত্রে এই ক্রোমােজোমের সংখ্যা 23 জোড়া, 22 জোড়া অযৌন ক্রোমােজোম ও 1 জোড়া যৌন ক্রোমােজোম । যার মধ্যে 23 টি আসে পিতার থেকে এবং 23 টি আসে মাতার থেকে ।
🔷 প্রতিটি ক্রোমােজোমের মধ্যে থাকে প্রচুর সংখ্যক জিন ( এক হাজারের উপর ) ।
⭐️ জিন: জিন হল ক্রোমােজোমের মধ্যে অবস্থিত অতি ক্ষুদ্র বস্তু । বংশধারা সূত্রে প্রাপ্ত বৈশিষ্ট্যাবলির বাহক হল এই জিন ।
⭐️ জৈবিক বংশধারা: জিনের মধ্যে দিয়ে পূর্বপুরুষের বৈশিষ্ট্য যা আমরা পাই তাকেই জৈবিক বংশধারা বলা হয় ।
⭐️ জৈবিক বংশধারার কৌশল: জিনের মধ্য দিয়ে পূর্বপুরুষদের বৈশিষ্ট্য প্রাপ্তিকেই জৈবিক বংশধারার কৌশল বলা হয় ।
⭐️ লিঙ্গ নির্ধারণ: শিশুর লিঙ্গ স্থির হয় এক জোড়া যৌন ক্রোমােজোমের দ্বারা । নারীদের যৌন ক্রোমোজোমে থাকে ‘ XX ‘ এবং পুরুষদের যৌন ক্রোমােজোমে থাকে ‘XY’ ক্রোমােজোম । পুরুষের ‘ X’ ক্রমোজোম যদি নারীদের ‘X’ ক্রোমােজোমের সঙ্গে মিলিত হয় তাহলে শিশু হবে কন্যাসন্তান । আর নারীর ‘X ‘ক্রোমােজোম ( নারী কেবলমাত্র ‘X ‘ক্রোমােজোমই সরবরাহ করতে পারে ) যদি পুরুষের ‘Y’ ক্রোমোেজামের সঙ্গে মিলিত হয় তাহলে শিশু হবে পুত্র সন্তান ।
🔷 জিন দুরকমের — সক্রিয় ( Dominate ) এবং নিষ্ক্রিয় ( Recessive ) ।
🔷 পিতামাতার জিন দুটির মধ্যে যদি একটি সক্রিয় খর্বকায় বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন জিন হয় এবং অপরজনের দীর্ঘকায় বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন জিন যদি নিষ্ক্রিয় হয়, তাহলে সন্তানটি খর্বকায় হবে , কারণ খর্বকায় জিনটিই সক্রিয় ।
🔷 অপরদিকে খর্বকায় জিন যদি নিষ্ক্রিয় হয় এবং দীর্ঘকায় জিন যদি সক্রিয় হয় তাহলে সন্তানটি হবে দীর্ঘকায় ।
🔷 পিতামাতা উভয়েই দীর্ঘকায় হলে সন্তান খর্বকায় হতে পারে , যদি উভয় তরফ থেকে আগত জিন দুটি খর্বকার হয় – তবে সে সম্ভাবনা অপেক্ষাকৃত কম ।
🔷 জিনগুলি কীভাবে জোড় বাঁধবে তার উপর নির্ভর করে বংশগতি ।
🔷 পুং জননকোশ এবং স্ত্রী জননকোশ মিলে যে নতুন কোশটি উৎপন্ন হয় , সেই কোশের অন্তর্ভুক্ত ক্রোমােজোমের সংগঠনের ব্যাপারটি একেবারেই আকস্মিকতার উপর নির্ভর করে । একে কোনােভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয় ।
🔷 কাজেই একমাত্র সমকোশী যমজ ( Identical Twins ) ব্যতীত পিতামাতার দুটি সন্তানের একেবারে অভিন্ন হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম ।
“