প্রতিভাবানদের কীভাবে চেনা যায়

📜 প্রতিভাবানদের কীভাবে চেনা যায় :

🧾 প্রতিভাবান শিক্ষার্থীর অনুসন্ধানে নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যগুলি লক্ষ করা উচিত—
( ১ ) টারম্যানের মতে , প্রতিভাবানদের বুদ্ধ্যঙ্ক ১৪০ বা তার বেশি হবে । এদের বুদ্ধির বিকাশ দ্রুত এবং প্রায় ৩০ বছর বয়স পর্যন্ত হয় ।
( 2 ) প্রতিভাবানরা সাধারণদের থেকে দীর্ঘ উচ্চতাসম্পন্ন ও ওজনেও বেশি হয় । কথাবলা ইত্যাদির ক্ষেত্রেও এরা এগিয়ে থাকে ।
( ৩ ) হ্যারিয়েটের মতে এরা উদার ও মহৎ হয় । আবার টারম্যান বলেন , এরা দয়ালু , সং এবং পার্থবাদী হয় ।
( ৪ ) সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতাে প্রতিভাবানদের মধ্যেও কতকগুলি মৌলিক চাহিদা দেখা যায় । অন্যান্যদের মতাে এরাও স্নেহ , প্রেম , ভালােবাসা , সহানুভূতি , আত্মপ্রতিষ্ঠা ইত্যাদি আকতক্ষা করে । কতকগুলি চাহিদা , যেমন — অনুসন্ধিৎসা , কৌতূহল , প্রভৃতি প্রতিভাবানদের মধ্যে প্রবল আকারে দেখা যায় ।

প্রশ্নের পর প্রশ্ন করে পিতামাতা , শিক্ষক ও অন্যান্য গুরুজনদের তারা জর্জরিত করে তােলে । অনেক অভিভাবই ওইসব প্রশ্নের জবাব তাে দেনই না উপরন্তু ‘বেশি জ্যাঠামাে’ করা হচ্ছে বলে তিরস্কার করেন । অভিভাবকের এরূপ আচরণ শিশুর মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে যার ফলে শিশুর ব্যক্তিত্ব বিকাশ বাধা পায় ।

( ৫ ) অনেক সময় সাধারণের চোখে প্রতিভাবানদের আচরণ অদ্ভুত এবং অস্বাভাবিক বলে মনে হয় । কিন্তু প্রকৃতপক্ষে প্রতিভাবানদের কাছে ওই আচরণগুলি নিতান্তই স্বাভাবিক । শিক্ষক এবং অভিভাবকগণ ওই সমস্ত আচরণ বিশেষভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন । কারণ ওইগুলি থেকে নানারকমের তথ্য সংগ্রহ করা যায় ।

( ৬ ) কতকগুলি মানসিক গুণ , যেমন — মনােযােগের বিস্তার , মনােনিবেশের ক্ষমতা , চিন্তা ভাবনা করার ক্ষমতা , যুক্তিশক্তি , আত্মবিশ্বাস , নিজে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার ক্ষমতা বিভিন্ন বিষয়বস্তু ও ভাবধারার মধ্যে সমন্বয়সাধন করার ক্ষমতা ইত্যাদি সাধারণদের থেকে প্রতিভাবানদের মধ্যে উল্লেখযােগ্যভাবে বেশি থাকে ।

( ৭ ) প্রতিভাবানদের সংখ্যার সঙ্গে পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিসংখ্যানগ্রাহ্য কোনাে সম্পর্ক না পাওয়া গেলেও , মধ্যবিত্ত পরিবারেই প্রতিভাবানদের আধিক্য দেখা যায়।

( ৮ ) কোনাে সমস্যা সমাধানে গতানুগতিক পথ প্রায়শই তারা অবলম্বন করে না । তাদের সমাধানের মধ্যে অভিনবত্ব দেখা যায় ।

( ৯ ) যে কাজে ঝুঁকি আছে সেই কাজ এরা পছন্দ করে ।

( ১০ ) মূর্ত চিন্তার থেকে বিমূর্ত চিন্তার প্রতি এদের আগ্রহ বেশি দেখা যায় ।

( ১১ ) শিক্ষাক্ষেত্রে পারদর্শিতার দিক থেকেও এরা এগিয়ে থাকে । এদের ভাষা ব্যবহারের ক্ষমতা সাধারণের থেকে অনেক উন্নত । পাঠ্যবিষয়ের গভীরে এরা যেতে চায় ।