পিঁয়াজের প্রজ্ঞামূলক তত্ত্ব ও পাঠদান

“💠 পিঁয়াজের প্রজ্ঞামূলক তত্ত্ব ও পাঠদান :

🔷 প্রজ্ঞার বিকাশকে ব্যাখ্যা করার উদ্দেশ্যে পিঁয়াজে তার প্রজ্ঞামূলক তত্ত্বের কথা উল্লেখ করেন । পাঠদানের উন্নতির প্রতি তার কোনাে কৌতূহল ছিল না । যা হােক , তার তত্ত্বের ভিত্তিতে পাঠদান সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করা যেতে পারে ।

( i ) পিঁয়াজের মতে , ব্যক্তি ও পরিবেশের মধ্যে পারস্পরিক প্রতিক্রিয়ার ফল হল জ্ঞান এবং প্রজ্ঞা । প্রধানত আত্তীকরণ , সহযােজন এবং সাংগঠনিকীকরণের মাধ্যমে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত প্রজ্ঞার নিরবচ্ছিন্ন বিকাশ ঘটে । পিঁয়াজের ব্যক্ত বিভিন্ন স্তরের ধারাবাহিক ক্রমবিকাশের জন্য নির্দিষ্ট মানসিক বৈশিষ্ট্য এবং প্রজ্ঞার বিকাশের বিকাশের পূর্ব স্তরে উন্নীত হতে হবে ।

🔷 পাঠদানের ক্ষেত্রে এই তত্ত্বের তাৎপর্য হল শিক্ষককে জানতে হবে শিক্ষার্থীর প্রজ্ঞামূলক বিকাশ কোন্ স্তরের এবং সেই স্তরের শিখন অভিজ্ঞতাগুলির প্রকৃতি কী হবে যা শিক্ষার্থীদের সম্মুখে উপস্থাপন করা যেতে পারে ।

( ii ) প্রজ্ঞামূলক বিকাশের নিরবচ্ছিন্নতা প্রমাণ করে যে , শিক্ষা কার্যক্রমটি আংশিকভাবে কার্যকারী করা উচিত নয় । শিক্ষণ – পদ্ধতি ও বিষয় নির্ধারিত হওয়া উচিত প্রজ্ঞামূলক বিকাশের প্রতিটি স্তরের চাহিদার নিরিখে ।

( iii ) পিয়াজের তত্ত্ব

( ক ) ভাষার ওপর ;

( খ ) ধারণা গঠনের ওপর ;

( গ ) মূর্ত অভিজ্ঞতাসমূহ , বাচনিক এবং সাংকেতিক উপায় রূপান্তরের ওপর এবং

( ঘ ) যুক্তিভিত্তিক চিন্তার মূল্যায়নের ওপর গুরুত্ব আরােপ করে ।

( iv ) শৈশবে ধারণা ও ভাষার ওপর গুরুত্ব আরােপ করতে হবে । বাল্যকালে বিদ্যালয়ের নানা ছাত্রদের ক্ষেত্রে মূর্ত বিষয় এবং এর বাচনিক ও সাংকেতিক রূপান্তরের ওপর গুরুত্ব আরােপ করতে হবে ।

🔷 বিদ্যালয়ের অন্তিম লগ্নে বা উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে যুক্তিভিত্তিক চিন্তার ওপর গুরুত্ব আরােপ করতে হবে ।

🔷 অবশ্য এর অর্থ এই নয় যে , উচ্চস্তরে ধারণা গঠন ও ভাষার বিকাশের ওপর বিবেচনা করা হবে না । প্রজ্ঞামূলক বিকাশের ক্ষেত্রে প্রতিটি স্তরের কার্যাবলি সেই স্তর এবং তার পূর্ববর্তী স্তরগুলি বিবেচনার মধ্যে রাখতে হবে । শুধু গুরুত্ব আরােপের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট স্তর বিবেচনা করতে
হবে ।”