কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স: 8ই সেপ্টেম্বর
1.বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু নটরাজ মূর্তি G20 শীর্ষ সম্মেলনে স্থাপন করা হবে
G20 শীর্ষ সম্মেলনের ভেন্যুতে, ওয়ার্ল্ড লিডারদের ভগবান শিবের কসমিক ডান্সের অনবদ্য 27-ফুট লম্বা নটরাজ মূর্তির মাধ্যমে দ্বারা অভ্যর্থনা জানানো হবে। এই চমত্কার ভাস্কর্যটি, অষ্টধাতু নামে পরিচিত আটটি ধাতুর দিয়ে নির্মিত। মূর্তিটির ওজন 18 টন। এই মূর্তিটির পরিবহনের জন্য জন্য দিল্লিতে 36 টি টায়ার সহ একটি ট্রেলার ব্যবহৃত হয়েছে । তামিলনাড়ুর থাঞ্জাভুর জেলার স্বামীমালাই থেকে দক্ষ কারিগরদের দ্বারা নির্মিত, এই মাস্টারপিসটি প্রাচীন নটরাজ মূর্তি থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে আধুনিকতার সাথে ঐতিহ্যকে নিরবিচ্ছিন্নভাবে মিশ্রিত করে নির্মিত হয়েছে।
2.কেরালা 2024 সালে জায়েদ চ্যারিটি ম্যারাথনের উদ্বোধনী আয়োজন করবে
জায়েদ চ্যারিটি ম্যারাথনের হাইয়ার অর্গানাইজেশন কমিটি ভারতের জন্য একটি যুগান্তকারী ডেভেলপ্টমেন্ট ঘোষণা করেছে – যেখানে বিখ্যাত ম্যারাথনের উদ্বোধনী সংস্করণটি 2024 সালে ভাইব্রেন্ট কেরালায় অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে (UAE) বসবাসকারী ভারতীয় কমিউনিটির মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য সহযোগিতাকে চিহ্নিত করে, যা দুই অঞ্চলের মধ্যে সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করে। জায়েদ চ্যারিটি ম্যারাথন শুধু একটি স্পোর্টস ইভেন্ট নয়; এটি চ্যারিটেবল কারণের জন্য একটি বেকন অফ হোপ । আবু ধাবিতে 2001 সালে এটির সূচনা হওয়ার পর থেকে, এই ম্যারাথনটি ফান্ড কালেকশন এবং হিউম্যানিটেরিয়ান ও চ্যারিটেবল বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার একটি প্ল্যাটফর্ম হয়েছে যা সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রয়াত শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের উত্তরাধিকারকে প্রতিধ্বনিত করে। শেখ জায়েদের জনহিতকর প্রভাব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং মিশরের চ্যারিটেবল এবং হিউম্যানিটেরিয়ান প্রতিষ্ঠান সহ সারা বিশ্বে প্রসারিত হয়েছে এবং এখন এটি ভারতে পৌঁছানোর জন্য সেট করা হয়েছে।
3.পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার রেজুলেশনে ‘পয়লা বৈশাখ‘কে রাজ্য প্রতিষ্ঠা দিবস হিসাবে নির্বাচন করা হয়েছে
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা 15 এপ্রিল যেটি পয়লা বৈশাখ নামে বাংলা নববর্ষ দিবস হিসাবে পরিচিত, দিনটিকে রাজ্যের প্রতিষ্ঠা দিবস হিসাবে আনুষ্ঠানিকভাবে পালন করার একটি প্রস্তাব পাস করে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এই তারিখটি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে এবং বিরোধীদের সাথে মতবিরোধের মধ্যে এই সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন এই পরিবর্তনের প্রধান উদ্যোগতা। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে রাজ্যের রাজ্যপালের অনুমোদন নির্বিশেষে এই দিনটি পালন করা হবে। রুল 169 এর অধীনে উত্থাপিত রেজুলেশনে পয়লা বৈশাখকে ‘বাংলা দিবস’ হিসাবে পালনের প্রস্তাব করা হয়েছে এবং নোবেল বিজয়ী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনন্য রচনা, ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’ কে সরকারী ভাবে রাজ্য গান হিসাবে ঘোষণা করা করা হয়েছে। এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত টি বিধানসভার মোট 294 সদস্যের মধ্যে 167 সদস্যের পক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে পাস হয়। তবে সমাবেশে সবাই একমত ছিলেন না। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় 62 জন বিধায়ক নিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) দৃঢ়ভাবে এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে। তারা যুক্তি দেখান যে রাজ্যের প্রতিষ্ঠা দিবস 20 জুন পালিত হওয়া উচিত, কারণ দিনটি একটি ঐতিহাসিক তাৎপর্যপূর্ণ তারিখ। প্রসঙ্গত 1947 সালের এই দিনে, পশ্চিমবঙ্গের বিধায়করা বঙ্গভঙ্গের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। সেই উপলক্ষে দিনটি বঙ্গ দিবস হিসাবে পালিত হয়।
4.ক্যাসিনো, ই-গেমগুলির জন্য GST রুল জারি করা হয়েছে
অর্থ মন্ত্রক সম্প্রতি অনলাইন গেমিং এবং ক্যাসিনোগুলির সাথে সম্পর্কিত পণ্য ও পরিষেবা কর (GST) নিয়মগুলির সংশোধনের রূপরেখা দিয়ে একটি উল্লেখযোগ্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে৷ এই সংশোধনীর লক্ষ্য অনলাইন গেমিং কোম্পানি এবং ক্যাসিনো গুলির দ্বারা নিযুক্ত কর পদ্ধতির সমাধান করা। এই সংশোধনীগুলির দ্বারা প্রবর্তিত মূল পরিবর্তনগুলির মধ্যে একটি হল যে ব্যক্তিরা একটি ক্যাসিনোতে যান তাদের এখন প্রাথমিকভাবে কেনা চিপগুলির সম্পূর্ণ মূল্যের উপর GST দিতে হবে৷ এর অর্থ হল যে চিপ কেনার সময় ব্যয় করা অর্থের সম্পূর্ণ পরিমাণের উপর GST ধার্য করা হবে। দুটি নতুন ধারা, 31B এবং 31C, ভালুয়েশন অফ সাপ্লাই স্পেসিফাই করার জন্য GST রুলে চালু করা হয়েছে। এই পরিবর্তনগুলির অধীনে, খেলোয়াড়দের দ্বারা করা যেকোন ক্লেমগুলি প্রদত্ত বা প্রদেয় মোট পরিমাণের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, একটি কম্প্রিহেনসিভ ট্যাক্স অ্যাপ্রোচ নিশ্চিত করে।
5.ভারত কনভার্সেশনাল পেমেন্টের জন্য ‘Hello UPI’ এবং ‘Bharat BillPay Connect’ লঞ্চ করেছে
ইউসারদের জন্য সুবিধা এবং অ্যাক্সেসযোগ্যতা বাড়ানোর লক্ষ্যে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছে। এই পদক্ষেপে ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (NPCI) গ্লোবাল ফিনটেক ফেস্টের সময় দুটি কনভার্সেশনাল পেমেন্টের ইনিশিয়েটিভ লঞ্চ করেছে। এই উদ্যোগগুলি, ‘Hello UPI’ এবং ‘Bharat BillPay Connect’। এই উদ্যোগ দুটি ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজে কনভার্সেশনের মাধ্যমে সিমলেস ডিজিটাল লেনদেনের সুবিধার্থে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপকে চিহ্নিত করে ৷
6.নয়াদিল্লিতে গতি শক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ভাদোদরা এবং এয়ারবাসের মধ্যে MoU স্বাক্ষরিত হয়েছে
ভারতীয় রেলের গতি শক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (GSV) ভাদোদরা এবং গ্লোবাল এভিয়েশন জায়ান্ট এয়ারবাস, সম্প্রতি ভারতীয় এভিয়েশন সেক্টরকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে একটি স্ট্রেটিজিক সহযোগিতা শুরু করেছে। এই পার্টনারশীপটি, নতুন দিল্লির রেল ভবনে স্বাক্ষরিত একটি সমঝোতা স্মারক (MoU)-এর মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়েছে। এটি চুক্তিটি ভারতের এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রিকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য ইন্ডাস্ট্রি-অ্যাকাডেমিয়া এলায়েন্স গড়ে তোলার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক নির্দেশ করে৷ রেল, যোগাযোগ, ইলেকট্রনিক্স এবং IT মন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের উপস্থিতিতে এই সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষরিত হয়েছে। উল্লেখ্য শ্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব গতি শক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম চ্যান্সেলর হিসাবেও কাজ করেছেন৷ তার সাথে ছিলেন রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারপারসন ও CEO শ্রীমতি জয়া বর্মা সিনহা এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এই সহযোগিতা ভারতের মহাকাশ সেক্টরকে শক্তিশালী করার জন্য একটি নতুন প্রতিশ্রুতিকে চিহ্নিত করে গুজরাটের ভাদোদরায় একটি C295 এয়ারক্রাফট ম্যানুফ্যাকচারিং ফেসিলিটি স্থাপনের জন্য টাটার সাথে এয়ারবাসের সাম্প্রতিক পার্টনারশীপকে অনুসরণ করে।
7.প্রধানমন্ত্রী মোদী 20 তম ASEAN-ভারত শীর্ষ সম্মেলনে এবং 18 তম ইস্ট এশিয়া সামিট-এ (EAS) অংশগ্রহণ করেছেন
প্রধানমন্ত্রী মোদি 20 তম ASEAN-ভারত শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন এবং ASEAN-ভারত কম্প্রিহেনসিভ স্ট্রেটিজিক পার্টনারশীপকে শক্তিশালী করতে ASEAN পার্টনারদের সাথে ব্যাপক আলোচনায় নিযুক্ত হন। তিনি ইন্দো-প্যাসিফিকে ASEAN-এর সেন্ট্রাল রোল পুনর্নিশ্চিত করেছেন এবং ভারতের ইন্দো-প্যাসিফিক উদ্যোগ (IPOI) এবং ইন্দো-প্যাসিফিকের (AOIP) বিষয়ে ASEAN-এর আউটলুকের মধ্যে সারিবদ্ধতাকে তুলে ধরেছেন। এই সম্মেলনটিতে প্রধানমন্ত্রী মোদী ASEAN-India FTA (AITIGA) এর টাইমলী রিভিউ-এর উপর জোর দিয়েছেন।
8. 22 সেপ্টেম্বর থেকে চেন্নাইয়ে স্ট্রিট চাইল্ড ক্রিকেট বিশ্বকাপ “স্ট্রিট 20″ অনুষ্ঠিত হবে
প্রথমবারের মতো, চেন্নাইয়ে “স্ট্রিট 20” আয়োজিত হতে চলেছে। এটি একটি ইনক্রেডিবেল হার্টওয়ার্মিং ক্রিকেট টুর্নামেন্ট যার আয়োজক শহর হিসাবে চেন্নাই এক্সক্লুসিভলি পথশিশুদের জন্য নিবেদিত এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করছে। এই টুর্নামেন্টের প্রধান লক্ষ্য ক্রিকেট উত্সাহী শিশুদের অধিকারের জন্য ক্রিকেট সমর্থকদের হৃদয়কে মোহিত করা। স্ট্রিট 20 হল একটি উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ যা 15টি দেশের পথশিশুদের সীমানা এবং পটভূমি অতিক্রম করে একত্রিত করে তোলে৷ ইউনাইটেড কিংডম, ব্রাজিল, হাঙ্গেরি, মেক্সিকো, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, রুয়ান্ডা এবং আরও অনেক দেশের শিশুরা এই অসাধারণ টুর্নামেন্টে অংশ নেবে। যা এই ইভেন্টটিকে আরও বিশেষ করে তোলে তা হল ভারতে ICC বিশ্বকাপ ক্রিকেটের আগে, এই টুর্নামেন্টটি এই গ্রহের সর্বশ্রেষ্ঠ ক্রিকেটীয় দর্শনের একটি নিখুঁত ভূমিকা হিসাবে তৈরি করবে।উল্লেখ্য স্ট্রিট চাইল্ড ক্রিকেট বিশ্বকাপের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন, টিম ইন্ডিয়া, স্ট্রিট 20-এর প্রধান আকর্ষণ হতে চলেছে। ভারতের তরুণ ক্রিকেটারদের এই ডাইনামিক দল ইতিমধ্যেই ইতিহাসে তাদের নাম খোদাই করেছে। উল্লেখ্য 2019 সালে, লন্ডনে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী টুর্নামেন্টে, ভারতীয় শিশুরা বিশ্বকে তাদের প্রতিভা এবং সংকল্প প্রদর্শন করে বিজয়ী হয়।
9. INS সুমেধা ‘ব্রাইট স্টার-23′ এক্সারসাইজে অংশ নিতে মিশরে পৌঁছেছে
ভারতীয় নৌবাহিনীর INS সুমেধা মিশরের পোর্ট আলেকজান্দ্রিয়ায় পৌঁছেছে ‘ব্রাইট স্টার-23’ এক্সারসাইজে অংশ নিতে। মাল্টিন্যাশন ট্রাই-সার্ভিস সামরিক মহড়ার এই সংস্করণে ৩৪টি দেশ অংশগ্রহণ করবে। উল্লেখ্য এটি মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলে সর্বকালের সর্ববৃহৎ যৌথ সামরিক মহড়া। মিশরে আয়োজিত এই যৌথ সামরিক মহড়াটি ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক চিহ্নিত করে এবং পার্টনার দেশগুলির সাথে ভারতের ডিপ্লোমেটিক ও স্ট্রেটিজিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করে। হারবার ফেইজে বিস্তৃত ক্রিয়াকলাপ যেমন ক্রস-ডেক ভিজিট, প্রফেশনাল এক্সচেঞ্জ, স্পোর্টস ফিক্সচার এবং সী ফেসের প্লানিং ও কন্ডাক্ট-এর জন্য ইন্টারঅ্যাকশন জড়িত। এক্সারসাইজের এই পর্যায় BRIGHT STAR-23 একটি গুরুত্বপূর্ণ বিগিনিং পয়েন্ট যেখানে অংশগ্রহণকারী দেশগুলি সহযোগিতা এবং বোঝাপড়া বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন ধরনের কার্যকলাপে নিয়োজিত হয়। ক্রস-ডেক পরিদর্শন এবং পেশাদার বিনিময় নৌ কর্মীদের একে অপরের কাছ থেকে শিখতে, দক্ষতা এবং বেস্ট প্রাকটিস ভাগ করে নেওয়ার অনুমতি দেয়। উপরন্তু, স্পোর্টস ফিক্সটার এবং ইন্টারঅ্যাকশন চাকুরীজীবীদের মধ্যে বন্ধুত্বের প্রচার করে।
10.সালেমের সাবু GI ট্যাগ পেয়েছে
তামিলনাড়ু রাজ্যের সালেম জেলা সাবু উৎপাদনের জন্য প্রশংসা অর্জন করেছে। এইখানকার সাবুদানা হিসাবে ব্যাপকভাবে স্বীকৃত। সালেম সাবু, স্থানীয়ভাবে জাভারিসি নামে পরিচিত। এটি ট্যাপিওকার শিকড় থেকে নিষ্কাশিত ভেজা স্টার্চ পাউডার থেকে তৈরী করা হয়। ভারতীয় ট্যাপিওকা শিকড়গুলিতে আনুমানিক 30-35% স্টার্চ সামগ্রী রয়েছে বলে জানা যায়৷ 1967 সাল থেকে সাবু উৎপাদন সালেমের অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি প্রধান ভিত্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ বর্তমান সময়ে, ভারতের 80% এরও বেশি সাগো সালেম অঞ্চলে উত্পাদিত হয়, যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ Sagoserve-এর মাধ্যমে বাজারজাত করা হয়।। সালেম সাবু (জাভারিসি) এর জন্য একটি জিওগ্রাফিকাল আইডেন্টিফিকেশন (GI) ট্যাগের অনুরোধটি সেলেম স্টার্চ এবং সাবু ম্যানুফ্যাকচারার্স সার্ভিস ইন্ডাস্ট্রিয়াল কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড দ্বারা দায়ের করা হয়েছিল, যা সাধারণত Sagoserve নামে পরিচিত। GI ট্যাগটি সালেম অঞ্চলের কৃষকদের জন্য এবং সালেম, ইরোড, নম্মকাল এবং ধর্মপুরীর মতো এলাকায় 400-এর বেশি সাবু এবং স্টার্চ ইউনিটগুলির জন্য ব্যবসাকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করতে পারে। এসব অঞ্চলে দীর্ঘদিনের সাবু উৎপাদনের ঐতিহ্য রয়েছে।
11.ওড়িশার রায়গাদা শাল এবং কোরাপুটের কালা জিরা চাল GI ট্যাগ পেয়েছে
ওড়িশার রায়গাদা জেলার বিশেষভাবে দুর্বল উপজাতীয় গোষ্ঠীর (PVTG) ডোংরিয়া কোন্ধগুলির জন্য একটি উল্লেখযোগ্য উন্নয়নে, তাদের সূক্ষ্ম হাতে বোনা শাল, যা কাপদাগান্ডা নামে পরিচিত, মর্যাদাপূর্ণ জিওগ্রাফিকাল ইন্ডিকেশন (GI) ট্যাগ অর্জন করেছে। অন্যদিকে কোরাপুট জেলার ‘কেলাজেরা’ চাল, যাকে প্রায়ই ‘Prince of Rice,’ বলা হয়, জিওগ্রাফিকাল ইন্ডিকেশন (GI) মর্যাদা পেয়েছে।
কাপদাগান্ডা শাল: একটি সাংস্কৃতিক সম্পদ এবং একটি জিআই ট্যাগের সন্ধান
জটিল সূচিকর্মে সজ্জিত কাপদাগান্ডা শালগুলি ডোংরিয়া কোন্ধ সংস্কৃতিতে একটি বিশেষ স্থান ধরে রাখে। এটি কৃতজ্ঞতার প্রতীক এবং ঐতিহ্যবাহী কারুশিল্পকে তার সর্বোত্তমভাবে প্রদর্শন করে। কাপডাগান্ডার জন্য GI ট্যাগ পাওয়ার পথে যাত্রা শুরু হয় নিয়ামগিরি ডোংরিয়া কোন্ধ তাঁতি সমিতি (NDKWA) তফসিলি জাতি ও তফসিলি উপজাতি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট অধিদপ্তরের সাথে সহযোগিতা করে।
কোরাপুট কালাজিরা চাল: প্রিন্স অফ রাইস GI স্বীকৃতি পেয়েছে
ওড়িশার জন্য আরেকটি উল্লেখযোগ্য কৃতিত্ব হল , ‘কোরাপুট কালাজিরা চাল,’ যাকে প্রায়ই ‘প্রিন্স অফ রাইস’ বলা হয়, জিওগ্রাফিকাল ইন্ডিকেশন (GI) মর্যাদা পেয়েছে। এই সুগন্ধি ধানের জাত, এর পুষ্টিগুণের জন্য লালিত, কোরাপুট জেলার আদিবাসী কৃষকরা প্রজন্ম ধরে চাষ করে আসছে। কোরাপুট কালাজিরা চাল, প্রায়শই জেক ধনে বীজের সাথে তুলনা করা হয়, এটি তার কালো রঙ, ব্যতিক্রমী সুবাস, সুস্বাদু স্বাদ এবং আনন্দদায়ক টেক্সচারের জন্য বিখ্যাত।