ইতিহাস শিক্ষণের উদ্দেশ্যসমূহ ও প্রয়ােজনীয়তা

( A) প্রাথমিক স্তরে –

✨ ইতিহাস পাঠে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বৃদ্ধি করা : এই স্তরে শিশুর উপলব্ধির পৃথিবীকে অর্থবহ ও বােধসম্পন্ন করে তােলাই ইতিহাসের উদ্দেশ্য । আদিম মানুষ কোথায় কীভাবে বসবাস করত , কীভাবে খাদ্যসংগ্রহ করত , কীভাবে ধীরে ধীরে তাঁরা কৃষিকাজ শিখল , ঘরবাড়ি বাঁধল , সমাজবদ্ধ হলে এবং আজকের এমন একটি সুসভ্য প্রগতিশীল মনুষ্যসমাজ গড়ে তুলল তারই একটি অতি সহজ ও সংক্ষিপ্ত প্রতিচ্ছবি তুলে ধরাই হল প্রাথমিক স্তরে ইতিহাস পাঠদানের উদ্দেশ্য । এই বয়সে শিক্ষার্থীদের মন স্বাভাবিকভাবেই প্রবল কৌতূহলী ও কল্পনাপ্রবণ হয় । পাশাপাশি শিশুর মধ্যে সৃজনশীলতার সম্ভাবনা উঁকি দেয় । তাই , এই স্তরের প্রধান উদ্দেশ্য হবে বিভিন্ন ঘটনার জটিলতা বর্জন করে অত্যন্ত সহজ ভাষায় শিশুমনে ইতিহাস পাঠের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা । মূলত গল্পভিত্তিক , পরিবেশ ভিত্তিক এবং জীবনীভিত্তিক আলােচনা করতে হবে । বর্ণনার ভাষা এমন হবে যেন শিশু তার মা – ঠাকুমার কাছে রূপকথা শুনছে এমনভাবেই তাঁর মনে যেন জানার আগ্রহ প্রবল হয়ে ওঠে ।

✨ কল্পনাশক্তির বৃদ্ধিসাধন ( Development of Power of Imagination ) ; কল্পনাশক্তি হল সৃজনী ক্ষমতা বিকাশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শর্ত । পশুপাখির গল্প , রাজপুত্র ও রাজকন্যার গল্প , পক্ষীরাজ ঘােড়ার গল্প , মৎস্যকন্যার গল্প , অলৌকিক পরীর গল্প ইত্যাদি শুনে শিশুর মধ্যে কল্পনাশক্তি জেগে ওঠে । শিশুর কাছে ইতিহাসের বর্ণনাও তেমনি গল্পের মতাে ( Story telling system ) বলতে হবে । ইতিহাসের গল্পের প্রেরণা যেন শিশুর ভবিষ্যৎ জীবনকে উজ্জ্বল আলােয় আলােকিত করে । তাই শিশুরা যাতে ইতিহাসের বিভিন্ন বিষয়বস্তুকে কেন্দ্র করে তাদের কল্পনাশক্তির বিকাশ ও প্রকাশ ঘটাতে পারে সেদিকে অবিরত খেয়াল রাখতে হবে ।

✨ অতীত বিষয়ের প্রতি ছাত্রদের সচেতন করে তােলা : ‘ অতীত কাকে বলে তা আগে শিশুদের বােঝাতে হবে । অতীত । SIR থেকে আমরা শিক্ষা নিয়েছি বলেই আমাদের বর্তমান এত সুন্দর হয়েছে , এই ঘটনা গল্পের আকারে শিশুদের সামনে । আলােচনা করতে হবে । যে বইখানি আমরা পড়ছি তার কাগজ কীভাবে সৃষ্টি হল , বইখানি কীভাবে ছাপা হল , ছাপার কালি কীভাবে তৈরি হল , ছাপার পদ্ধতি কে , কীভাবে আবিষ্কার করলেন , কোথায়বা প্রথম ছাপা হল — এগুলিও ইতিহাস । ঘরবাড়ি , পােশাক – পরিচ্ছদ , গাড়িঘােড়া যা কিছু দেখছি সবই সৃষ্টি হয়েছে অতীতের মানুষের অভিজ্ঞতা থেকে । শিশুদের সামনে সেই সমস্ত ‘ অতীতের গল্প এমনভাবে তুলে ধরতে হবে যেন শিশু ক্রমাগত অতীতের প্রতি আরও আগ্রহী হয় । এত বড় প্রবল কৌতূহলে শিশু যেন তার হৃদয় দিয়ে অতীতকে অনুভব করতে পারে । অতীতকে অনুভব করতে ছাত্রদের মধ্যে Sense of Time অর্থাৎ সময় জ্ঞানও জাগিয়ে তুলতে হবে । সময় জ্ঞান জাগিয়ে তুলতে প্রয়ােজন সময় বৃত্ত ( Time Curve ) এবং সময় গ্রাফ ( Time Graph ) ।

✨ দেশপ্রেম এবং বিশ্বভ্রাতৃত্ববােধ সৃষ্টি : শিশুকাল থেকেই যাতে শিক্ষার্থীরা নিজের দেশের সংস্কৃতির কথা , ঐতিহ্যের কথা ভেবে গর্বিত হয় , স্বদেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয় — ইতিহাস পাঠের মাধ্যমে তার ব্যবস্থা করতে হবে । মূলত ইতিহাসের পাঠ্যসূচিতে অতীতের গৌরবগাথা গল্পাকারে প্রকাশ করা সম্ভব বলেই ইতিহাসকে এই দায়িত্ব পালনে প্রধান ভূমিকা নিতে হয় ।

( B ) মাধ্যমিক স্তরে –

✳️ প্রাথমিক স্তর থেকে যখন একটি শিশু মাধ্যমিক স্তরে পা রাখে তখন তাকে আর শিশু না বলাই সংগত । কুঁড়ি যেমন ধীরে ধীরে তার পাপড়ি মেলতে শুরু করে একটি মনােরম ফুলে পরিণত হওয়ার জন্য একটি শিশুর জীবনেও এটি এক বিচিত্র সন্ধিক্ষণ । তখন সে বিকাশােন্মুখ এক কিশাের / কিশােরী । শিক্ষার্থীর জীবন – বিকাশের সামগ্রিক শিক্ষা অর্জনের এটিই প্রকৃত সময় । কিশােরকালেই তার চিন্তাশক্তি প্রখর থেকে প্রখরতর হতে থাকে । মনুষ্য জীবনের কঠোর বাস্তবের দিকে সে ক্রমশ অগ্রসর হয় । তার মধ্যে জাগতে থাকে আত্মমর্যাদাবােধ । এই বয়সের শিক্ষার্থীর আছে মাতৃভাষা – সাহিত্য , ইংরেজি , ভূগােল , বিজ্ঞান , রাষ্ট্রবিজ্ঞান , পরিবেশ – পরিচয় , সংগীত , শিল্পকলা ইত্যাদির সঙ্গে ইতিহাসের ঘনিষ্ঠতম যােগ — এই বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টিদান করে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্তৃপক্ষ অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে কিশােরদের ইতিহাস বিষয়টি স্থিরীকৃত করেছেন । এ ছাড়া , ইতিহাস হল বর্তমান প্রগতিশীল যুগে মানবিক , সাংস্কৃতিক ও শৃঙ্খলা জাগরণকারী এক শ্রেষ্ঠ পুস্তক । এই সুচিন্তিত ভাবনা নিয়েও মাধ্যমিক স্তরে ইতিহাস অবশ্যপাঠ্য হিসেবে নির্দেশ দান করা হয়েছে । এই স্তরের উদ্দেশ্যগুলিকে নিম্নোক্ত পর্যায়ে আলােচনা করা যায়—

✨ আমাদের দেশে মাধ্যমিক শিক্ষণ পর্যন্তই অনেকেরই পুথিগত বিদ্যাশিক্ষার শেষ পর্যায় ঘটে থাকে । এরপর কিছু সংখ্যক ছাত্রছাত্রী শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত থাকলেও তারা বিভিন্ন শাখা – উপশাখাতে বিভক্ত হয়ে যায় । যেমন কারিগরি বা বৃত্তিমূলক শিক্ষাগ্রহণ । ফলে মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার্থীরা ইতিহাসের যে মৌলিক জ্ঞান অর্জন করে তার উপর ভিত্তি করে তাদের ক্তির ভবিষ্যতের পথে পাড়ি দিতে হয় । কাজেই মাধ্যমিক শিক্ষায় ইতিহাস পাঠের গুরুত্ব অপরিসীম ও প্রয়ােজনীয়তা অনস্বীকার্য ।

✨ নিম্ন মাধ্যমিক স্তরের পরে যে সমস্ত শিক্ষার্থী মাধ্যমিক স্তরে বিজ্ঞান , ব্যবসায় শিক্ষা ( Commerce ) বা বৃত্তিমূলক শিক্ষাগ্রহণ করে , তাদের আর ইতিহাস পাঠের সুযােগ না থাকায় বিষয়গত যােগসূত্র সন্ধানে তারা অনেক সময় খেই হারিয়ে ফেলে । সুতরাং মাধ্যমিক স্তরে ইতিহাস পাঠের গুরুত্ব অপরিসীম ।

✨ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বয়স সাধারণত 14 থেকে 17 বছর হয় । এই বয়স বিশেষ করে নবম ও দশম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের বয়ঃসন্ধিক্ষণ ( Adolescence ) , অর্থাৎ এটিই ব্যক্তিত্ব বিকাশের উপযুক্ত সময় । এই সময়ে শিক্ষার্থীদের মনে নিজের সমাজ , সমাজের পরিকল্পিত অবস্থা , সভ্যতা , ঐতিহ্য , সংস্কৃতি প্রভৃতি বিষয়ে নানারকম কৌতূহল জাগ্রত হয় এবং এর সঠিক দিক নির্দেশনা ইতিহাস পাঠের মাধ্যমেই সম্ভব ।

✨ সুমহান ঐতিহ্যের দেশ এই ভারতবর্ষ যেন একটি অপূর্ব যৌথ পরিবার । বহু জাতি , বহু ভাষাভাষী , বহু বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি , বহু ধর্মাবলম্বীর এক শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান – ভূমি এই সুপ্রাচীন । তবর্ষ । স্বাভাবিকভাবে অন্য জাতির প্রতি শ্রদ্ধা পােষণ , অন্য ধর্মের প্রতি যথােচিত সম্মান প্রদর্শন , অন্যদের আচার – আচরণের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ , মনােগ্রাহী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুকরণ ইত্যাদি মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে ইতিহাস পাঠের মাধ্যমে ।

✨ অতীতের দরিদ্র ভারতবর্ষ আজ উন্নয়নশীল দেশের সম্মানে এগিয়ে চলেছে । তাই পিছনে পড়ে থাকা শ্রেণির মানুষদেরও অগ্রসরতার আলােকে তুলে আনতে হবে । দুর্বল ও পীড়িত বা বঞ্চিত মানুষদের সাধ্যমতাে সাহায্য ও সহানুভূতি দান এক মানবিক কর্তব্য । ইতিহাস পাঠের দ্বারা শিক্ষার্থীদের এই সামাজিক কর্তব্য পালনে উৎসাহিত করা এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ।

✨ পরিবার , স্কুল ও সমাজে অন্তরঙ্গ সহযােগিতার অভ্যাস গঠনও বিশেষভাবে প্রয়ােজন । একটি আদর্শ সমাজের প্রয়ােজনে মানুষের সহজাত সুকুমার বৃত্তিগুলি শিক্ষার্থীর মনে জাগিয়ে তােলা ইতিহাসের গুরুদায়িত্ব । সামাজিক কল্যাণ কামনায় শিক্ষার্থীর মধ্যে শ্রদ্ধা , ভক্তি , ভালােবাসা , সম্মান প্রদর্শন , সহানুভূতি , সমবেদনা , মমত্ববােধ , ক্ষমা , সহনশীলতা , আন্তরিকতা , দয়া ইত্যাদির জাগরণ ঘটানাে একান্ত প্রয়ােজন ।

✨ বিভিন্ন দেশের উৎপত্তি , ক্রমবিকাশ , বিবর্তন ও উন্নয়ন সম্পর্কে সঠিক ধারণা অনুধাবন করে মাতৃভূমির সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির জন্য মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার্থীদের ইতিহাসের পঠনপাঠন অপরিহার্য ।

✨ যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের জীবনধারা পরিবর্তিত হয় । ইতিহাস সেই পরিবর্তনের চিহ্ন বহন করে । তাই ইতিহাস হল সভ্যতার ধারক , বাহক ও পরিমাপক । মানুষের রাজনৈতিক , অর্থনৈতিক , সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উত্থানপতন ও ভাঙাগড়ার সাক্ষীস্তম্ভ হল ইতিহাস । তাই জাতির ইতিহাসকে শিক্ষার্থীদের সামনে ছবির মতাে তুলে ধরার জন্য মাধ্যমিক স্তরে ইতিহাস পাঠ প্রয়ােজনীয় ।

✨ দেশের জাতীয় সংগীত , গণতান্ত্রিক রীতিনীতি এবং জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলির প্রতি শ্রদ্ধাবােধ সৃষ্টি করা যেমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তেমনি আমাদের পবিত্র সংবিধান ও তার অপরিহার্য মূল্যের কথা ভেবে তার প্রতি যথােচিত সম্মান প্রদর্শন করতে শেখানােও ইতিহাস পাঠদানের একটি মহান কর্তব্য ।

✨ হাজার বছরের ঐতিহ্যসম্পন্ন সুসভ্য বাঙালি জাতির ইতিহাস জানার জন্য শিক্ষার্থীদের বাঙালির ইতিহাসের মৌলিক দিকগুলি জানা বাঞ্ছনীয় ।

✨ ইতিহাস পাঠের মাধ্যমে বর্তমান বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে অতীতকে দেখা যায় । বর্তমান পর্যালােচনা করে শিক্ষার্থী ভবিষ্যতের স্বপ্ন রচনা করে । সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশ ও জাতিকে উন্নয়ন , প্রগতি ও সমৃদ্ধির শীর্যে নিয়ে যাওয়ার বিশাল দায়িত্ব উত্তরসূরীদের হাতেই । এই চিন্তাভাবনা শিক্ষার্থীর মধ্যে জাগিয়ে তুলতে হবে । তাই এই বয়ঃসন্ধিক্ষণে অর্থাৎ মাধ্যমিক স্তরে ইতিহাস শিক্ষার প্রয়ােজনীয়তা অপরিহার্য ।

✨ ইতিহাসের মাধ্যমে মহামানবদের জীবনীপাঠ শিক্ষার্থীদের কাছে এক অমূল্য প্রেরণা । মহামানবদের জীবনী পাঠের মাধ্যমে শিক্ষার্থী নিজের জীবনে মহামানবীয় গুণাবলির বিকাশ ঘটাতে উজ্জীবিত হবে । এই ধরনের শিক্ষা জীবনের প্রারম্ভিক পর্যায়ে মাধ্যমিক স্তরেই উপযােগী । এই ধরনের শিক্ষা শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেশপ্রেম ও বিশ্বভ্রাতৃত্ববােধও সৃষ্টি করে ।

✨ প্রাচীন শিল্পকলা , স্থাপত্যকলা , চিকিৎসাশাস্ত্র , জ্যোতিষশাস্ত্র প্রভৃতি থেকে জ্ঞান আহরণ করে ভবিষ্যতের শিক্ষা – সংস্কৃতির পরিপুষ্টি ঘটানাে ইতিহাস পঠনপাঠনের মাধ্যমেই সম্ভব । তাই বলা যায় , সর্বতােভাবে শিক্ষার্থীদের উপযােগী করতে মাধ্যমিক স্তরে ইতিহাস পাঠ একান্ত আবশ্যক ।

( C ) উচ্চমাধ্যমিক স্তরে :

✨ উচ্চমাধ্যমিক স্তরের ছাত্রছাত্রীরা পূর্ণ বয়ঃসন্ধিক্ষণে উপনীত । এই স্তরে শিক্ষার্থীর হৃদয়ের প্রসারতা হয় সুবিস্তৃত এবং প্রবলতর হয় তার বৌদ্ধিক আগ্রহ । তাই বয়ঃসন্ধিক্ষণের মনস্তাত্ত্বিক পটভূমিকায় এই স্তরের ইতিহাস পাঠের উদ্দেশ্য নির্ধারণ করা উচিত । তবে খেয়াল রাখতে হবে মাধ্যমিক স্তরে ইতিহাস পাঠের যে উদ্দেশ্য নির্ধারণ করা হয়েছে এই স্তরেও সেই উদ্দেশ্যগুলিকে সমান গুরুত্ব দিতে হবে । এ ছাড়া অতিরিক্ত হিসেবে আরও কিছু উদ্দেশ্য এই স্তরে থাকা বাঞ্ছনীয় । যেমন—

✨ শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা ও বিশ্লেষণী ক্ষমতাকে সুদৃঢ় করার জন্য ইতিহাসের বিষয়বস্তুকে তথ্যনিষ্ঠ ও বস্তুনিষ্ঠ করা ।

✨ ইতিহাস পাঠের সাংস্কৃতিক , সামাজিক , শিক্ষাভিত্তিক ও বৌদ্ধিক মূল্যের পরিপূর্ণ রূপায়ণ ঘটানাে । শিক্ষার্থী যেন সমগ্র বিশ্বের সভ্যতা ও সংস্কৃতি সম্পর্কে আগ্রহী হয় ।

✨ শিক্ষার্থী যেন অনুভব করতে পারে , বর্তমান দ্রুত প্রগতির যুগে প্রতিটি রাষ্ট্র পরস্পরের উপর নির্ভরশীল — অর্থাৎ ইতিহাস পাঠে শিক্ষার্থীর আন্তর্জাতিক সচেতনতা বাড়িয়ে তােলা প্রয়ােজন ।

✨শিক্ষার্থীর বিভিন্ন মানসিক গুণাবলির বিকাশ এবং বিচারশক্তির সুসমঞ্জস মানসিকতা বৃদ্ধির সহায়ক বিশ্লেষণী কার্যাবলির অন্তর্ভুক্ত করা ।

✨ নন্দনতত্ত্ব এবং সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে শিক্ষামূলক কার্যাবলিতে অংশগ্রহণ করা ।

✨ বিদ্যালয় – গণ্ডির বাইরের বৃহত্তর বাস্তব সমাজ সম্পর্কে অবহিত করা এবং জীবননাপযােগী বিষয়বস্তু নির্বাচন করা ।

✨ শুধু নিজ নিজ অঞলেরই নয় , সারা দেশের এমনকি বহির্বিশ্বের বর্তমান অবস্থার সঙ্গে শিক্ষার্থীদের অবহিত করাননা ।

✨ ভবিষ্যৎ জীবনের প্রয়ােজনে উৎপাদনমুখী বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করার জন্য শিক্ষার্থীদের মানসিকভাবে প্রস্তুত করা ।

✨ বিভিন্ন সামাজিক , রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সমস্যা সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের সচেতন করা এবং সেই সমস্যাগুলি থেকে উত্তরণের সহজ উপায় চিন্তনে সাহায্য করা ।

✨পৃথিবীর সভ্যতার ধারাবাহিক অগ্রগতি সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের জানতে সাহায্য করা এবং অতীতের আলােকে বর্তমানের এই অভাবনীয় অগ্রগতি বিচার করে নিজের ব্যক্তিজীবনের , সমাজজীবনের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গঠনে নিরন্তর অনুপ্রাণিত করা ।

✨ গণতান্ত্রিক মূল্যবােধ বুঝতে স্কুল ও সমাজ কল্যাণকর ( Social Welfare ) কর্মসমূহে যােগদান করা এবং সামাজিক সাম্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অবহেলিত , পীড়িত ও নিষ্পেষিত মানুষদের পাশে দাঁড়ানাের উদারতা অর্জন করা ।

✨ বিজ্ঞান , গণিত , পরিবেশ চেতনা , ভাষা ইত্যাদি বিষয়ে ব্যাপক অভ্যাস গঠন এবং পাশাপাশি খেলাধুলা ও শরীরচর্চায় এ অংশগ্রহণের অভ্যাস গঠন করা ।

✨ কার্য ও কারণ ( Law of Cause and Effect ) – এর বিশ্লেষণধর্মী মানসিকতা গড়ে তােলার ব্যবস্থা করা ।

✨ সময় জ্ঞান ( Sense of Time ) সম্পর্কে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার্থী যে বােধ অর্জন করেছে তাকে দৃঢ়তর করা ।

Related posts:

বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানীদের জীবন কথা
পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারী : 2024
চন্দ্রযান-3 : চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণকারী প্রথম দেশ ভারত
GENERAL STUDIES : TEST-2
GENERAL STUDIES : 1
কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স: 8ই সেপ্টেম্বর
'জ্ঞানচক্ষু' গল্পের নামকরণের সার্থকতা বিচার করো।
তপনের জীবনে তার ছোটো মাসির অবদান আলোচনা করো।
সমান্তরাল আলোকরশ্মিগুচ্ছ বলতে কী বোঝ ?
আলোকরশ্মিগুচ্ছ বলতে কী বোঝায় ? এটি কয়প্রকার ও কী কী ?
একটি সাদা কাগজকে কীভাবে তুমি অস্বচ্ছ অথবা ঈষৎ স্বচ্ছ মাধ্যমে পরিণত করবে ?
ঈষৎ স্বচ্ছ মাধ্যম কাকে বলে ? উদাহরণ দাও ।
অস্বচ্ছ মাধ্যম কাকে বলে ? উদাহরণ দাও ।
স্বচ্ছ মাধ্যম কাকে বলে ? উদাহরণ দাও ।
অপ্রভ বস্তুও কি আলোর উৎস হিসেবে কাজ করতে পারে?
বিন্দু আলোক - উৎস কীভাবে পাওয়া যেতে পারে ?
বিন্দু আলোক - উৎস ও বিস্তৃত আলোক - উৎস কী ?
অপ্রভ বস্তু কাকে বলে ? উদাহরণ দাও ।
স্বপ্নভ বস্তু কাকে বলে ? উদাহরণ দাও ।
দিনেরবেলা আমরা ঘরের ভিতর সবকিছু দেখতে পাই , কিন্তু রাত্রিবেলা আলোর অনুপস্থিতিতে কোনো জিনিসই দেখতে পা...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page