প্রশ্ন : অন্তর্ভুক্তিকরণে ( সমন্বিত শিখনে ) প্রদর্শিত শিল্পকলার কীভাবে প্রয়োগ করবেন উদাহরণসহ লিখুন ।
উত্তর : শিক্ষাক্ষেত্রে সমন্বয়সাধন বলতে বোঝায় বিভিন্ন বিষয়বস্তুর মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক অনুধাবনের সাহায্যে লঞ্চ সার্বিক জ্ঞানের বিকাশ । সমন্বয়িত শিখন প্রক্রিয়ায় শিক্ষকের মূল উদ্দেশ্য সুসংবদ্ধ অভিজ্ঞতার উপস্থাপন । জাতীয় পাঠক্রম 2005 , শিক্ষার অধিকার আইন 2009 এবং নির্মিতিবাদের মূল বিষয় হল সমন্বয়মূলক দক্ষতার বিকাশ ।
অন্তর্ভুক্তিকরণ : অন্তর্ভুক্তিকরণ হল সব শিশুকে ( 6-14 বছর পর্যন্ত ) শিক্ষার আওতায় আনা । প্রতিবন্ধী শিশুদের প্রতি আমরা সামাজিকভাবে দায়বদ্ধ — এই কথা মনে রেখে আমরা তাদের বিদ্যালয়ে অন্তর্ভুক্ত করার ব্যবস্থা করব । প্রতিবন্ধী শিশুকে কোনো অজুহাতেই বিদ্যালয়ের বাইরে রাখা যাবে না ।
অন্তর্ভুক্তির নীতি : সব শিশুকে শিক্ষার আওতায় নিয়ে আসার জন্য আমাদের যে সকল নীতি গ্রহণ করা দরকার তা হল—
• আমাদের সমগ্র শিক্ষাব্যবস্থায় এবং সমস্ত বিদ্যালয়ে অন্তর্ভুক্তির নীতি চালু করতে হবে ।
• স্কুলের ভিতরে এবং বাইরে , জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে শিশুদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে ।
• বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুরা যাতে শিক্ষার সমসুযোগ বিদ্যালয়ে পায় তার সুব্যবস্থা করতে হবে । PU বিদ্যালয়ের বিভিন্ন কাজে শিশুদের একাত্ম করে দিতে হবে । তাদের বিমূর্ত প্রতিভাকে মূর্ত করতে হবে ।
• বিদ্যালয়ে কোনোরূপ পক্ষপাতিত্ব নীতি গ্রহণ করা যাবে না ।
• বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য প্রয়োজনবোধে অতিরিক্ত সময় দিতে হবে । বিদ্যালয়ে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে যাতে সকল শিশু অংশ নেয় তা সুনিশ্চিত করতে হবে । (
• শ্রেণিতে বসার ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকা বা পশ্চাৎবর্তী এমন ভাগ না করাই ঠিক ।
• শিশুদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করতে হবে ।
অন্তর্ভুক্তিকরণে প্রদর্শিত শিল্পের ( Performing Art ) উদাহরণ : অন্তর্ভুক্তিকরণের নীতি মেনে শিশুশিক্ষায় শিল্পশিক্ষা , বিশেষ করে প্রদর্শিত শিল্প ( Performing Art ) – এর ভূমিকা খুব গুরুত্ব পাবে । নিম্নে উদাহরণের সাহায্যে দেখানো হল —
নাটক— উচিত শিক্ষা
বিদ্যালয়ের নাম শ্রেণি – দ্বিতীয় বিষয় আমার বই একক – উচিত শিক্ষা শিক্ষক / শিক্ষিকার নাম
চড়াই : আরে কী করছ ? থামো , থামো , গাছের উপরে আমার বাসা রয়েছে ।
হাতি : তা ‘ আমি কী করব ?
চড়াই : শিগগিরি থামো না হলে যে আমার বাসা ভেঙে যাবে । আমার বাছারা বড্ড ভয় পাচ্ছে ?
হাতি : হাতি হেসে বলবে – তোর বাচ্চারা যে ভয় পেয়েছে তাতে আমি কী করব ? গর্তের মধ্যে লুকাতে যাব ?
চড়াই : ( কাকুতি – মিনতি করে ) তুমি আর গাছটাকে নাড়িয়ো না । আমার বাচ্চারা উড়তে শেখেনি । উঁচু বাসা থেকে পড়ে ওরা মারা যাবে ।
হাতি : পিঠ চুলকে আরামের সঙ্গে বলবে — আমার খুব আরাম লাগছিল । বলবে তাতে আমার কী ?
চড়াই : এই শেষবার বলছি । এক্ষুনি থামো । নইলে—
হাতি : ( হেসে বলবে ) নইলে তুমি কী করবে ?
চড়াই : নইলে তোমাকে পস্তাতে হবে ।
হাতি : তোর মতো পুঁচকে পাখি আমার কিছু করতে পারবে না ।
চড়াই : দেখবে কী করতে পারি ?
হাতি : দেখতেই তো চাই ( বলে আরও জোরে গাছ নাড়াবে । )
চড়াই : চিৎকার করে ওঠে চড়াই , বলবে ‘ দাঁড়াও ‘ । বলে হাতির কুলোর মতো কানে ঢুকে পড়বে । সেখানে সে ঠোকরাবে এবং উড়বে । ( কানের মধ্যে )
হাতি : ( চিৎকার করে উঠবে এবং কানে জোর করে চাপড়াতে থাকবে । কাতরাতে কাতরাতে বলবে ) ‘ বড্ড লাগছে আমার । তুমি শিগগির বেরিয়ে এসো আমার কান থেকে , লক্ষ্মী বোনটি আমার ‘ ।
চড়াই : ( কানের মধ্য থেকে চড়াই বলবে ) তাতে আমার কী ? এখানে উড়তে আমার খুব ভালো লাগছে । ( এই জায়গায় চড়াই পাখির চরিত্রের ছেলেটি হাতি চরিত্রের ছেলেটির কানে হাত দিয়ে সুড়সুড়ি দেবে )
হাতি : বোন তুমি আমাকে বাঁচাও । আমি আর গাছ নাড়াব না , আমার অন্যায় হয়ে গিয়েছে । তুমি আমাকে মাফ করো ।
চডাই : ঠিক বলছো ?
হাতি : ঠিক ।
চড়াই পাখি আবার জামগাছে ফিরে যাবে । হাতির প্রাণ জুভাবে ।
চড়াই : ( চড়াই পাখি ফিরে বাচ্চাদের বলবে ) “ গাষের জোর আছে বলে গব করা ঠিক ন , মনে রাখবে – ছোটো প্রাণীর কিছু ক্ষতা থাকতে পারে । ” এইভাবে নাটকটি শেষ হবে ।
হাতির চরিত্রের অভিনীত ছেলেটি মরে হান ত্যাগ করবে ।