ভূতের গল্প : একটি ভুতুড়ে শিশু

আনুমানিক ৫০ বছর আগের ঘটনা। বিলকিস বেগম এর একটি ছোটো ছেলে, বয়স ৪/৫ হবে। তার সাথে একদিন হঠাৎ একটি অপরিচিত বাচ্চা ছেলে খেলতে এলো। সারা বিকেল এক সাথে থাকার পরও সে সন্ধ্যা বেলাও খেলতে চাইলো।

সেই সময়টা ছিলো, বিলকিস বেগম এর ছেলেটির পড়তে বসার সময়। অপরিচিত ছেলেটি পড়ার সময়ও বিরক্ত করছিলো, তাই সে বাধ্য হয়ে মাকে ডাকল।

বিলকিস বেগম এসে ছেলেটিকে বললেন বাড়ি ফিরে যেতে। কিন্তু ছেলেটি যেতে চাইছিলো না। এক সময় তিনি এক রকম জোর করেই তাকে বাড়ি পাঠাতে চাইলেন, এবং দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দিলেন। যাবার সময় ছেলেটি বাড়ির পেছন

দিকে হেটে গেলো, পেছনে ঘুরে কেমন অদ্ভুত ভাবে হাসলো।

আর হাতের ইশারায় বিলকিস বেগমকে ডাকল। বিলকিস বেগম লক্ষ করলেন, ছেলেটা হাত দিয়ে মাটির দিকে কিছু একটা দেখাচ্ছে। কী দেখাচ্ছে সেটা দূর থেকে বোঝা গেলো না। তিনিও আর বেশি মাথা ঘামালেন না, ভাবলেন বাচ্চা ছেলের খেয়াল। ঘরে ফিরে গেলেন বিলকিস বেগম। সেই সন্ধের ঘটনার পরদিন বিলকিস বেগম এর ছেলে জ্বরে পড়লো।

কয়েকদিন কঠিন জ্বরে ভুগলো ছেলেটা। অবশেষে সে মারা গেলো। পুত্রশোকে বিহ্বল হয়ে কয়েকটা দিন কেটে গেলো। আস্তে আস্তে যখন স্বাভাবিক চেতনা ফিরতে শুরু করলো, হঠাৎই মনে এলো সেই অপরিচিত ছেলেটির কথা, তার অদ্ভুত আচরণগুলোর কথা। এভাবেই এক সময় মনে পড়লো মাটির দিকে ইশারা করার কথাও।

কী দেখাতে চেয়েছিলো ছেলেটা? সেদিনের আগে অথবা পরে, আর তো কখনোই দেখা যায়নি তাকে। কে ছিলো সে? কোথা থেকে এলো ? তার আসার সাথে এই মৃত্যুর কোনো যোগ আছে কি?? কৌতূহল বশত তিনি বাড়ির পেছন দিকে গেলেন সেই জায়গাটা দেখার জন্য। গিয়ে দেখলেন, ছোট্ট ব্যাসার্ধের একটি গভীর গর্ত, যা আগে কখনোই ছিলো না সেখানে!!

সেই অচেনা ছেলেটির খোঁজ করেও তাকে আর পাওয়া যায়নি কোনো দিন। হতে পারে, সে অশরীরী কেউ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page