ব্যক্তিজীবনে বংশধারা ও পরিবেশের গুরুত্ব

“💠 ব্যক্তিজীবনে বংশধারা ও পরিবেশের গুরুত্ব (Importance of Heredity and Environment in Individual Life ) :

🔷 ইতিমধ্যেই ব্যক্তিগত পার্থক্যের ক্ষেত্রে বংশগতি ও পরিবেশের প্রভাব সম্পর্কে আলােচনা করা হয়েছে । এখন প্রশ্ন হল , ব্যক্তিগত পার্থক্যের ক্ষেত্রে কার ভূমিকা অধিক । বংশধারাবাণী এবং পরিবেশবাদী উভয় দলই তাদের সিদ্ধান্তের সমর্থনে পরীক্ষার ফলের কথা উল্লেখ করেছেন ।

💠 ডঃ পরিশ্চা ( Dr Parischa ) এই পরীক্ষাগুলির উপর সুন্দর মন্তব্য করেছেন । তিনি বলেছেন, কোনাে পরীক্ষা যদি দুটি বিপরীতমুখী সিন্ধান্তের প্রেক্ষিতে বিচার করা হয় তাহলে দেখা যায় উক্ত পরীক্ষাটি দুটি বিপরীত সিদ্ধান্তের কারণ হিসাবে ব্যাখ্যা করা যায় ।

🔷 নৈর্ব্যক্তিকভাবে বিচার করলে দেখা যায় বংশগতি এবং পরিবেশের মধ্যে সম্পর্ক এত গভীর যে ব্যক্তিজীবনে পৃথক ভাবে এর কোনো একটির প্রভাব পরিমাপ করা সম্ভব নয় l

🔷 এই কারণেই বংশগতি বা পরিবেশ এই দুটির কোনাে একটিকে ব্যক্তির বিকাশে সম্পূর্ণ দায়ী করা মূর্খামি l বংশধারা সূত্রে প্রাপ্ত গুণাবলি পরিবেশের বিভিন্ন উপাদানের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে বিকশিত হয় ।

🔷 অনুকূল পরিবেশে যেমন সুস্থ ও স্বাভাবিক বিকাশলাভের সুযােগ ঘটে , একই ভাবে পরিবেশ যথাযথ না হলে বিকাশ ব্যাহত হয় । অপরদিকে পরিবেশ একক ভাবে কিছু করতে পারেন না l বংশধারা ব্যতীত পরিবেশ অর্থহীন ।

🔷 সহজাতভাবে প্রাপ্ত শিশুর গুণাবলি পরিবেশের সাহচর্যে প্রকাশ পায় । ব্যক্তির সহজাত গুণাবলির সঙ্গে পরিবেশের নিয়ত মিথস্ক্রিয়া ঘটে যার ফলে ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটে । এখানেই শিক্ষাব্যবস্থা এবং শিক্ষকদের গুরুত্ব । শিক্ষার লক্ষ্য হল শিশুর বংশধারা সূত্রে প্রাপ্ত সম্ভবনাগুলিকে অনুকুল পরিবেশের সাহায্যে তার বিকাশ সাধন ।”