পরিবেশ পরিচিতি ও নিরাপদে হাঁটা – চলার জন্য প্রশিক্ষণ

📚 ( 4 ) পরিবেশ পরিচিতি ও নিরাপদে হাঁটা – চলার জন্য প্রশিক্ষণ :

দৃষ্টিহীনদের নিরাপদে হাঁটা – চলা করার জন্য সুযােগ বৃদ্ধি করতে এদের বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে । স্বল্প দৃষ্টিমান শিশুরা যেহেতু সামান্য দেখতে পায় , তাই তারা এই ধরনের বিশেষ প্রশিক্ষণ নাও নিতে পারে । তবে অবশ্যই তাদের হাঁটা – চলার কৌশলগুলি শেখানাে হয় ।

( ক ) দৃষ্টিমান সহযাত্রী পদ্ধতিঃ এই পদ্ধতিতে একজন দৃষ্টিমান একজন দৃষ্টিহীনকে তার যে – কোনাে একটি হাতের কনুইয়ের ঠিক উপরে ধরে চলতে সাহায্য করেন । দৃষ্টিমান ব্যক্তি অনুসরণকারী দৃষ্টিহীন ব্যক্তি থেকে এক পদক্ষেপ সামনে থাকবেন । ভিড় ও অন্যান্য জটিল পরিস্থিতিতে দৃষ্টিমানের এক কাধে দৃষ্টিহীন হাত রাখবেন ও তাঁর ঠিক পিছনেই থাকবেন । এই পদ্ধতির অসুবিধা হল , একজন ব্যক্তিকে সর্বদা প্রতিবন্ধীর সঙ্গে সঙ্গে থাকতেই হয় ।

( খ ) সহযােগী কুকুর ( Dog guide ) : পাশ্চাত্যে Lambrador জাতের কুকুর দৃষ্টিহীনদের হাঁটাচলার জন্য গাইড হিসাবে কাজ করে । উন্নয়নশীল দেশে উন্নতমানের এই জাতীয় কুকুরের অভাবে এই পদ্ধতির বিশেষ প্রয়ােগ দেখা যায় না । তা ছাড়া কুকুর অসুস্থ হলে ‘ বা মারা গেলে দৃষ্টিহীন ব্যক্তি হঠাৎ অচল হয়ে পড়তে পারেন । তাই এই পদ্ধতি সেই দিক থেকে নির্ভরযােগ্য নয় ।

( গ ) সাদা ছড়ির ব্যবহার : দৃষ্টিহীনদের স্বাভাবিক ও নিরাপদে হাঁটা – চলার জন্য আপাত নির্ভরযােগ্য কৌশল হচ্ছে ‘ সাদা ছড়ির ব্যবহার । এটি সর্বাধিক ব্যবহৃত হয় । এই কৌশলটি জানা থাকলে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীরা একাকী পরিচিত ও অপরিচিত স্থানে চলাফেরা করতে পারেন । ৯

( ঘ ) নিরাপদ কৌশল : দৃষ্টিহীনরা যখন পরিচিত বা অপরিচিত পরিবেশে থাকেন , তখন হাঁটা – চলার সময় বিভিন্ন বাধার সম্মুখীন হতে পারেন । এই অসুবিধা দূর করার জন্য বিভিন্ন নিরাপদ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে । যেমন দরজার সামনে কোনাে উঁচু কাঠ । ( চৌকাঠ ) না রাখা ।

( ঙ ) Ultrasonic Beam : এক ধরনের Ultrasonic রশ্মির মাধ্যমে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী । শিশুরা বা ব্যক্তিরা সামনে অবস্থানকারী বড় বাধা সম্পর্কে অবহিত হতে পারেন । এক্ষেত্রে এই রশ্মির প্রতিফলন ঘটে ও ব্যক্তি অনুধাবন করতে পারে ।

📜 অতি সাম্প্রতিক কালে এই পদ্ধতি ব্যবহার করে এক ধরনের জুতাে আবিষ্কার করা হয়েছে । যার সাহায্যে দৃষ্টিহীনরা সম্মুখের কোনাে বাধা সম্পর্কে অবহিত হতে পারবেন ।