দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের শিক্ষা ব্যবস্থাপনা

📑 দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের শিক্ষা ব্যবস্থাপনা :

🧾 দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষাদানের জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় । তার মধ্যে উল্লেখযােগ্য কয়েকটি হল :

( 1 ) পৃথকীকৃত শ্রেণি : এই পদ্ধতিতে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিশুদের স্বাভাবিক শিশুদের থেকে পৃথক করে নির্দিষ্ট একটি শ্রেণিকক্ষে বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থীদের একজন শিক্ষকের অধীনে শিক্ষা গ্রহণের কথা বলা হয় । তবে , বর্তমানে শিক্ষাবিদ এই সম্পূর্ণ পৃথকীকরণের পরিবর্তে দিনের নির্দিষ্ট একটি সময়ে পৃথকভাবে পাঠদানকে বেশি যুক্তিযুক্ত মনে করেন ।

( 2 ) সমন্বিত পরিকল্পনা : এটি মূলত আংশিক দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্যই প্রযােজ্য । যে সমস্ত ক্ষেত্রে নিকট ও স্বল্প দৃষ্টির প্রয়ােজন হয় , সেইসব ক্ষেত্রে স্বাভাবিক শিশুদের সঙ্গে আংশিক দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের একত্রে শিক্ষাদান করা হয় । এছাড়া অন্যান্য কাজগুলি দিনের বাকি সময়ে পৃথকভাবে করানাে হয় ।

( 3 ) ভ্রাম্যমাণ শিক্ষক : শহর বা গ্রাম , ছােটো বড়াে যে – কোনাে সমাজেই দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের শিক্ষাদানের জন্য ভ্রাম্যমাণ শিক্ষকের সহযােগিতা গ্রহণ করা হয় । এই পরিকল্পনায় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিশুদের সাধারণ বিদ্যালয়ে ভরতি করা হয় । একজন বিশেষজ্ঞ শিক্ষক এলাকার বিভিন্ন স্কুলে বা একটি স্কুলের বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষকদের ওই প্রতিবন্ধীদের শিক্ষাদানের জন্য উপযুক্ত পরামর্শ , সহায়ক পুস্তক , সহায়ক যন্ত্রপাতি , বিশেষত ব্রেইল ব্যবহার সম্পর্কে সাহায্য করে থাকেন ।

( 4 ) সহায়ক পাঠক ও লেখক : মূলত উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে , যেখানে ব্রেইল পুস্তক উপযুক্ত সংখ্যায় পাওয়া যায় না , সেখানে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা সাধারণ পাঠক্রম অনুসরণের ক্ষেত্রে সহায়তাকারী হিসাবে একজন স্বাভাবিক ব্যক্তিকে পাঠক ও লেখক হিসাবে নিতে পারে এবং পরীক্ষা দিতে পারে ।

( 5 ) রিসাের্স কক্ষ : এই পদ্ধতি সমন্বিত পরিকল্পনার একটি উন্নত রূপ । এখানে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা দিনের অধিকাংশ সময় স্বাভাবিক শিশুদের সঙ্গে একত্রে শিক্ষা গ্রহণ করে এবং দিনের নির্দিষ্ট সময়ে বিশেষজ্ঞ শিক্ষকের অধীনে রিসাের্স কক্ষে শিক্ষা গ্রহণ করে থাকে।

( 6 ) আবাসিক বিদ্যালয় :শুধুমাত্র দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য সম্পূর্ণ আবাসিকভাবে এই বিশেষ ধরনের বিদ্যালয় গঠন করা হয় । সাধারণত বছরের অধিকাংশ সময় শিক্ষার্থীরা এখানে থাকে । এই বিদ্যালয়ে সাধারণ পড়াশােনার পাশাপাশি বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণও দেওয়া হয় । বিভিন্ন অঞলে প্রাপ্ত সুযােগ – সুবিধার উপর নির্ভর করে এই বিদ্যালয়ের পরিকাঠামাে গঠন করা হয় ।