ক্ষয়িষ্ণু (Degradable) এবং অক্ষয়িষ্ণু (Non-Degradable) পদার্থ

  • যেসব জৈব ও অজৈব পদার্থ পরিবেশকে দূষিত করে তাদের দূষণকারণ বা দূষক পদার্থ বলে। বাস্তুবিদ ওডাম (Odum, 1983) দূষণকারক পদার্থগুলিকে দুটি শ্রেণীতে ভাগ করেছেন। যথা —ক্ষয়িষ্ণু (Degradable) এবং অক্ষয়িষ্ণু (Non-Degradable) পদার্থ ।
  • ক্ষয়িষ্ণু (Degradable) পদার্থ : যেসব পদার্থ প্রাকৃতিক পরিবেশে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়, ক্ষতিকারক বস্তুরূপে কাজ করে না, তাদের ক্ষয়িষ্ণু পদার্থ বলে । পরিবেশের বিভিন্ন রকমের জৈব দূষনকারক পদার্থগুলি সাধারণভাবে ক্ষয়িষ্ণু পদার্থ। যেমন জৈব গ্যাস বিভিন্ন রকমের ফার্টিলাইজার।
  • অক্ষয়িষ্ণু (Non-Degradable) পদার্থ : প্রাকৃতিক পরিবেশে যেসব বস্তুর ক্রমক্ষয় ঘটে না, তাদের অক্ষয়িষ্ণু পদার্থ বলে। এগুলি সাধারণত নানা ধরনের ধাতু ও বিষাক্ত পদার্থ হয়ে থাকে। অ্যালুমিনিয়াম, মারকিউরিক লবণ, গ্যামাক্সিন, এলড্রিন ও DDT, ছাই, পলিথিন, পিচ ইত্যাদি হল অক্ষয়িষ্ণু (Non-Degradable) পদার্থ ।
  • ক্ষয়িষ্ণু (Degradable) পদার্থের বৈশিষ্ট্য : 

১. সাধারণত জীবদেহ থেকে উৎপত্তি ঘটে।

২. অণুজীব কর্তৃক বিয়োজিত হয়ে যায়।

৩. এইসব পদার্থ বাস্তুতন্ত্রে সঞ্চিত থাকে না।

৪. এদের জৈব বিবর্ধন (Bio-magnification) ঘটে না।

৫. এগুলি সম্পদ হিসেবে ব্যবহার হতে পারে যেমন জৈব গ্যাস এবং ফার্টিলাইজার উৎপাদন।

** জৈব বিবর্ধন : কোন এক ধরনের প্রজাতির জীবের মধ্যে বংশানুক্রমে যেসকল জৈবিক বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় তাকে জীব বিবর্ধন বলা হয়।
• জৈবিক বিবর্ধন কোন এক প্রজাতির জীবের অস্তিত্ব রক্ষার অন্যতম প্রধান হাতিয়ার কারণ সদা পরিবর্তনীয় পরিবেশের সাথে মানিয়ে নেওয়ার জন্য জৈবিক বৈশিষ্ট্যের গতানুগতিক পরিবর্তনও একান্ত প্রয়োজন।
• প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, যে এই জৈব বিবর্ধন খুবই ধীরগতিতে সম্পন্ন হয়, এবং একটি সুস্পষ্ট জৈব বিবর্ধন সম্পন্ন হতে কয়েক হাজার বছর লেগে যাওয়া অসম্ভব কিছু নয়।
• উদাহরণের জন্য আমরা বলতে পারি, যে আদিমকালে বানরের ন্যায় অনুন্নত শ্রেণীর মানুষ হাজার হাজার বছর ধরে জৈবিক বিবর্তনের মাধ্যমে আজকের হোমো সেপিয়েন্স-এ পরিবর্তিত হয়েছে।

  • অক্ষয়িষ্ণু (Non-Degradable) দূষক পদার্থের বৈশিষ্ট্য :

 ১. সাধারণত জীবদেহের বাইরে থেকে এদের উৎপত্তি হয়।

২. অণুজীব কর্তৃক বিয়োজিত হয় না।

৩. এগুলি বাস্তুতন্ত্রে সঞ্চিত হতে পারে।

৪. খাদ্যশৃঙ্খলে অনুপ্রবেশের ফলে জৈব বিবর্ধন ঘটাতে পারে।

৫. এগুলি সম্পদ হিসেবে ব্যবহার হয় না তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে সংগ্রহ ও পুনরাবর্তন (recycling) এর মাধ্যমে ব্যবহার হতে পারে। যথা প্লাস্টিক, ভাঙা কাঁচ ইত্যাদি।

Related posts:

বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানীদের জীবন কথা
পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারী : 2024
চন্দ্রযান-3 : চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণকারী প্রথম দেশ ভারত
GENERAL STUDIES : TEST-2
GENERAL STUDIES : 1
কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স: 8ই সেপ্টেম্বর
'জ্ঞানচক্ষু' গল্পের নামকরণের সার্থকতা বিচার করো।
তপনের জীবনে তার ছোটো মাসির অবদান আলোচনা করো।
সমান্তরাল আলোকরশ্মিগুচ্ছ বলতে কী বোঝ ?
আলোকরশ্মিগুচ্ছ বলতে কী বোঝায় ? এটি কয়প্রকার ও কী কী ?
একটি সাদা কাগজকে কীভাবে তুমি অস্বচ্ছ অথবা ঈষৎ স্বচ্ছ মাধ্যমে পরিণত করবে ?
ঈষৎ স্বচ্ছ মাধ্যম কাকে বলে ? উদাহরণ দাও ।
অস্বচ্ছ মাধ্যম কাকে বলে ? উদাহরণ দাও ।
স্বচ্ছ মাধ্যম কাকে বলে ? উদাহরণ দাও ।
অপ্রভ বস্তুও কি আলোর উৎস হিসেবে কাজ করতে পারে?
বিন্দু আলোক - উৎস কীভাবে পাওয়া যেতে পারে ?
বিন্দু আলোক - উৎস ও বিস্তৃত আলোক - উৎস কী ?
অপ্রভ বস্তু কাকে বলে ? উদাহরণ দাও ।
স্বপ্নভ বস্তু কাকে বলে ? উদাহরণ দাও ।
দিনেরবেলা আমরা ঘরের ভিতর সবকিছু দেখতে পাই , কিন্তু রাত্রিবেলা আলোর অনুপস্থিতিতে কোনো জিনিসই দেখতে পা...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page