প্রথমত , ‘ SOI ‘ মডেল শিক্ষার্থী ও শিখনের ক্ষেত্রে এক নতুন ধারণার সূচনা করেছে । প্রাচীন ধারণা অনুযায়ী শিখন হল উদ্দীপক — প্রতিক্রিয়ার ( S – R ) – এর মধ্যে বন্ধন । SOI মডেল শিক্ষার্থীকে একটি ‘ কম্পিউটারের ‘ সঙ্গে তুলনা করেছে । সে শুধু তথ্য সঞ্চয় করে না অপসারী চিন্তনের মাধ্যমে নতুন তথ্য সরবরাহ এবং মূল্যায়ন করে ।
🔷 মানুষের ক্ষেত্রে এখানে আর – একটি সুবিধা হল কম্পিউটারের মতাে এখানে তথ্য ইনপুট ’ হিসাবে দেওয়ার প্রয়ােজন হয় না । মানুষ তথ্য বাইরে থেকে সংগ্রহ করতে এবং বিন্যাস করতে সক্ষম । এই মতানুযায়ী শিখন উদ্দীপক ও প্রতিক্রিয়ার মধ্যে শুধু মাত্র বন্ধন নয় , তথ্য আবিষ্কারও বটে ।
🔷 শিখনের জ্ঞানমূলক তত্ত্বের ধারণা এক্ষেত্রে প্রাধান্য পায় । মডেল আরও বলে যে , উচ্চস্তরের চিন্তন , সমস্যাসমাধান , সৃজনশীলতা প্রভৃতি বিকাশে , পাঠক্রম সংগঠন এবং শিখন পদ্ধতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আবশ্যক ।
দ্বিতীয়ত , পূর্বে শিক্ষা ছিল বুদ্ধির অনুশীলন । বর্তমান ‘ SOI ’ মডেল অনুযায়ী শিক্ষা হল নির্দিষ্ট অভ্যাস ও দক্ষতার শিক্ষণ ।
তৃতীয়ত , শিক্ষার সাধারণ উদেশ্য বলতে যদি বৌদ্ধিক ক্ষমতার বিকাশ বােঝায় সে ক্ষেত্রে বিষয়বস্তু , প্রক্রিয়া এবং উৎপাদনের নির্দিষ্ট সময়ের ভিত্তিতে পাঠক্রম সংগঠন এবং শিখন অভিজ্ঞতা উপস্থাপন করতে হবে ।