শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের শিক্ষায় শিক্ষকের ভূমিকা

📚 শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের শিক্ষায় শিক্ষকের ভূমিকা ( Role of the Teacher in Education of Hearing Handicapped ) :

📑 বিশেষ শিক্ষকের পাশাপাশি কানে খাটো বা বধির শিশুদের শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে সাধারণ শিক্ষকদেরও কিছু দায়িত্ব পালন করতে হয় । কেননা , শ্রেণিকক্ষে এই ধরনের শিশু থাকতেই পারে । এই দায়িত্ব পালনে শিক্ষকের ভূমিকার মধ্যে উল্লেখযােগ্য কয়েকটি নিম্নরূপ :

📜 ( 1 ) যদি শ্রেণিকক্ষে কানে খাটো বা বধিরতার লক্ষণযুক্ত কোনাে শিশু শিক্ষকের নজরে আসে তালে অবিলম্বে তা তার অভিভাবককে জানানাে প্রয়ােজন এবং প্রয়ােজনে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত ।

📜 ( 2 ) গদি কোনো প্রেণিকক্ষে শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী থাকে তবে তাদের শিক্ষাদান সেই শিক্ষকের কছে সমস্যাসংকুল মনে হতে পারে । তাই সমস্ত শিক্ষকেরই শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের শিক্ষাদানের পদ্ধতি ‘ পর্কে ন্যূনতম ধারণা রাখতে হবে ।

📜 ( 3 ) শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের প্রতি শিক্ষককে সবসময়ই সহৃদয় ও ভালােবাসাপূর্ণ আচরণ করতে হয় , যাতে ওই শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরূপ মনােভাবের সৃষ্টি না হয় ।

📜 ( 4 ) শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের বসার জন্য শ্রেণিকক্ষের সামনের সারির আসন নির্দিষ্ট করে রাখতে হয় , যাতে তারা শ্রেণিকক্ষের নির্দেশনা সহজেই অনুসরণ করতে পারে ।

📜 ( 5 ) শ্রেণিকক্ষে অন্যান্য আওয়াজ যথাসম্ভব নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে , যাতে তা কোনােরূপ ব্যাঘাত ঘটাতে না পারে । তবে , কখনাে কখনাে দেখা যায় , শ্রেণিকক্ষের বাইরে এমন কিছু কোলাহল হয় , যা শিক্ষকের প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় । এক্ষেত্রে শিক্ষককেই তাৎক্ষণিক সমাধান করে নিতে হবে ।

📜 ( 6 ) শ্রেণিকক্ষে ছাত্র – শিক্ষকের অবস্থানের ন্যূনতম সাধারণ দূরত্ব হল 6 ফুট । এই দূরত্ব বেশি বেড়ে গেলে বা কমে গেলেও সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে ।

📜 ( 7 ) যে সমস্ত শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী শ্রবণ সহায়ক যন্ত্র ব্যবহার করে , তাদের যন্ত্র সঠিকভাবে কাজ করছে কি না , সেদিকে শিক্ষককে লক্ষ রাখতে হবে ।