শিক্ষার্থীদের শিখন প্রস্তুতি পরিমাপের জন্য প্রশ্নকরণ ( Formulating Appropriate Questions for Assessing Readiness Leavels of Learner )

📚সঠিক প্রশ্নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পাঠ গ্রহণে প্রস্তুত করে তােলা—

🧾 শ্রেণিকক্ষে শিক্ষা – শিখন প্রক্রিয়ায় ( তা সে গতানুগতিক যেমন — বস্তৃতাপদ্ধতি , ডেমনস্ট্রেশন পদ্ধতি বা আধুনিক মডেলভিত্তিক পদ্ধতি যেমন আশুবেল বা ব্রুনার মডেল । ইত্যাদি ) পর্যায়ক্রমে কতকগুলি পর্যায় আছে । যার মধ্যে অন্যতম এবং প্রথম পর্যায় হল শিক্ষার্থীদের অর্জিত জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা সম্পর্কে অবহিত হওয়া । এর জন্য শিক্ষক কিছু প্রশ্ন করবেন । প্রশ্ন করার সময় শিক্ষক প্রশ্নের উদ্দেশ্য সম্পর্কে সচেষ্ট হবেন । সাধারণত এই পর্যায়ের প্রশ্নের দুটি উদ্দেশ্য থাকে । প্রথমত , আলােচ্য বিষয় সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের পূর্ব জ্ঞান জানা এবং দ্বিতীয়ত আলােচ্য বিষয় সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের কৌতূহলী করে তােলা । যাতে তাদের আগ্রহ , প্রেষণা এবং চিন্তন শক্তি উদ্দীপিত হয় । এইভাবে শিক্ষার্থীরা পাঠগ্রহণে প্রস্তুত হয়েছে কিনা সে সম্পর্কে অবহিত হওয়া বিশেষ প্রয়ােজন । প্রশ্ন সম্পর্কে নিম্নে কিছু নীতির কথা উল্লেখ করা হল—

• প্রশ্ন আলােচ্য বিষয় অর্থাৎ শ্রেণিকক্ষে যা আলােচনা হবে তার প্রাসঙ্গিক হবে । সাধারণত পূর্বের শ্রেণিতে যেখানে পাঠদান শেষ করা হয়েছে তাকে ভিত্তি করেই প্রশ্ন করা হয় । তবে নতুন কোনাে অধ্যায় শুরু করলে , সেই অধ্যায়ের প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করা হয় ।

• প্রশ্ন যতটা সম্ভব শিক্ষার্থীর বাস্তব অভিজ্ঞতাভিত্তিক হবে ।

• প্রথম দিকে সহজ প্রশ্ন , পরে ক্রমশ কঠিন হবে ।

• যে প্রশ্নের উত্তর শ্রেণিকক্ষের অধিকাংশই উত্তর দিতে সক্ষম হবে না , তাকে ভিত্তি করে শিক্ষক পাঠ দান শুরু করবেন । অর্থাৎ শিক্ষার্থীদের বিষয় সম্পর্কিত জ্ঞানের সীমা অনুধাবন করার পর পাঠদান শুরু হবে ।

• অধিকাংশ প্রশ্নই গড় শিক্ষার্থীদের উপযােগী হবে ।

প্রশ্নগুলি বিভিন্ন প্রকৃতির হবে — জ্ঞানমূলক প্রশ্ন , বােধমূলক প্রশ্ন এবং প্রয়ােগমূলক প্রশ্নের মধ্যে যেন চিন্তনের সুযােগ থাকে যাকে প্রােবিং ( Probing ) প্রশ্ন বলে।”