শিক্ষাক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া শিশু ও নির্দেশনা

📚 শিক্ষাক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া শিশু ও নির্দেশনা:

হিসেবে অধ্যয়নের প্রতি তাদের অমনােযােগের কথাই বলা হত । আলফ্রেড বিনে প্রথম বলেন ।
📚 বিংশ শতাব্দীর আগে শিক্ষাক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের অকৃতকার্যতার কারণ হিসেবে অধ্যয়নের প্রতি তাদের অমনােযােগের কথাই বলা হত । আলফ্রেড বিনে প্রথম বলেন যে , অপরিণত বুদ্ধির জন্যও অনেক শিক্ষার্থী পরীক্ষায় সাফল্যলাভে অসমর্থ হয় । উপযুক্ত বুধির অভাবে । যে শিক্ষার্থী তার সমবয়সি অন্যান্য শিশুদের মতাে শিক্ষালাভ করতে পারে না তাকে শিক্ষাক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া শিশু ’ ( Backward Children ) বলে । এই পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা অবলম্বন করা আজকের গণতান্ত্রিক শিক্ষাজগতের কাছে একটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে । গণতান্ত্রিক শিক্ষাব্যবস্থার মূল লক্ষ্য হল ব্যক্তিকে তার ক্ষমতা অনুযায়ী শিক্ষার সুযােগ সৃষ্টি করে দেওয়া যার সাহায্যে সে ( ব্যক্তি ) বৃহত্তর জগতের সঙ্গে সার্থক সংগতিবিধানে সমর্থ হয়।

পিছিয়ে পড়া শিশুদের সীমিত ক্ষমতার পরিপ্রেক্ষিতে উপযুক্ত শিক্ষাব্যবস্থা প্রবর্তন করতে গণতান্ত্রিক শিক্ষাব্যবস্থাকে এগিয়ে আসতে হবে । এই প্রসঙ্গে বলা যায় যে , উপযুক্ত শিক্ষা ও পুনর্বাসন না পেলে এরা সহজেই অন্যদের শিকার হয়ে পড়ে । এদের দ্বারা নানাবিধ অসামাজিক কাজ করানাে হয়ে থাকে । গবেষণায় এটা প্রমাণ পাওয়া গেছে যে সমাজবিরােধীদের একটা বড়াে অংশ মনের দিক থেকে অক্ষম । তাই সমাজের স্বার্থেই এদের সুষ্ঠু শিক্ষা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা প্রয়ােজন । এই ধরনের শিশুদের বুদ্ধ্যঙ্ক ৭০ থেকে ৮৫ র মধ্যে । শতকরা প্রায় ১২ জন শিশু এই পর্যায়ে পড়ে । এদের অন্যান্য আচরণ সাধারণ শিশুদের মতােই , কেবলমাত্র শিখনের ক্ষেত্রে এদের প্রচেষ্টা ও সময় অধিক লাগে ।