বুদ্ধির পরিমাপ বা বুদ্ধ্যঙ্কের অপব্যবহার

📖 বুদ্ধির পরিমাপ বা বুদ্ধ্যঙ্কের অপব্যবহার ( Misuse or Abuse of Intelligence Testing ) : বুদ্ধির পরিমাপ বা বুদ্ধ্যঙ্কের অপব্যবহার বা ক্ষতিকর প্রভাব তিন দিক থেকে হতে পারে । শিক্ষার্থীর দিক থেকে শিক্ষকের দিক থেকে এবং সমাজের দিক থেকে।

শিক্ষার্থীর দিক থেকে : বুদ্ধির পরিমাপ বা বুদ্ধ্যঙ্ক সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান যে কেবল তাদের শিখনের প্রতি আগ্রহ ও মনােভাব হ্রাস করে তাই নয় , তাদের আচরণের উপরেও বিরূপ প্রভাব ফেলে । অল্প মেধাসম্পন্ন বা কম বুদ্ধ্যঙ্কসম্পন্ন শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারে যে তাদের বুদ্ধি কম ।

এইজন্য তার মধ্যে হতাশা , নিশ্চেষ্টতার আচরণ দেখা যায় । অপরদিকে অধিক বুদ্ধিসম্পন্ন শিক্ষার্থীরা নিজের উপর অধিক আস্থাশীল ও অহংকারী হয়ে ওঠে । দীর্ঘদিন এটা থাকলে , এটাই তাদের আচরণের সমস্যার কারণ হয়ে ওঠে ।

শিক্ষকের দিক থেকে : শিক্ষার্থীর বুদ্ধ্যঙ্ক তার শিক্ষক এবং পিতামাতার নিকট অত্যধিক গুরুত্ব পায় । কম বুদ্ধিসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের প্রতি শিক্ষক ও পিতামাতা প্রায়ই আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন । মনে করেন , এদের দ্বারা পরীক্ষায় ভালাে ফল করানাে সম্ভব নয় । তাই তাদের বাতিলের পর্যায়ে ফেলে দেন । অপর দিকে , মেধাবী শিক্ষার্থীর উপর অধিক মাত্রায় গুরুত্ব দেন । মনে করে এরাই শিক্ষক , বিদ্যালয় ইত্যাদির মুখ উজ্জ্বল করবে । তাই তাদের নিয়েই শিক্ষকগণ ব্যস্ত থাকেন ।

সমাজের দিক থেকে : সমাজের দিক থেকেও কম বুদ্ধিসম্পন্ন শিক্ষার্থী অবহেলিত হয় । সমাজ তাদের হের চোখে দেখে । অন্যদিকে মেধাবী শিক্ষার্থীর প্রতি পক্ষপাতিত্ব দেখানাে হয় । সমাজ তাদের সুনজরে দেখে এবং প্রশ্রয় দেয় ।