নারীশিক্ষার উন্নয়ন

📚 কীভাবে নারীশিক্ষার উন্নয়ন ঘটানাে যায় :

🧾 নারীশিক্ষার সমস্যাগুলি উল্লেখের পর নারীশিক্ষার উন্নয়ন কীভাবে সম্ভব তা আলােচনা করা যেতে পারে—

📜 ( 1 ) মেয়েদের জন্য বিদ্যালয়ে যাওয়া সুবিধাজনক এবং আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে এবং এর জন্য নিম্নলিখিত উপায়গুলি গ্রহণ করতে হবে ।

( ক ) বিনা বেতনে মেয়েদের শিক্ষার ব্যবস্থা করা।

( খ ) বালকদের থেকে বালিকাদের অবৈতনিক শিক্ষার সুযােগ আরও দীর্ঘায়িত করা ।

( গ ) নিম্ন – প্রাথমিক স্তরের পরে বালিকাদের জন্য পৃথক বিদ্যালয়ের সুযােগ করা প্রয়ােজন ।

( ঘ ) বিদ্যালয় চলাকালীন যেসব শিক্ষার্থী তাদের ভাইবােনদের নিয়ে আসার অনুমতি পায় তাদের ছােটো ছােটো ভাইবােনেরা যাতে শিক্ষা গ্রহণের সুযােগ পায় সেজন্য মূল বিদ্যালয়ের সঙ্গে নার্সারি বা প্রাথমিক বিদ্যালয় যুক্ত করা প্রয়ােজন ।

( ঙ ) বালক – বালিকাদের যৌথ বিদ্যালয়ে স্কুল মাদার নিয়ােগ করতে হবে । কারণ যেসব অভিভাবক যৌথ বিদ্যালয়ে তাদের কন্যাদের পাঠাতে চান না , সেইসব অভিভাবক এই ধরনের বিদ্যালয়ে এগিয়ে আসবেন ।

📜 ( 2 ) গ্রামে বা দুর্গম অঞ্চলে যেসব শিক্ষার্থী যােগদান করবে তাদের জন্য অতিরিক্ত বেতন এবং অন্যান্য সুযােগসুবিধা দেওয়া উচিত ।

📜( 3 ) বিদ্যালয়ের সন্নিকটেই শিক্ষিকাদের থাকার সুবন্দোবস্ত করতে হবে ।

📜 ( 4 ) বিদ্যালয়ে যাওয়ার বয়সি বালিকারা যাতে বিদ্যালয়ে যায় সেজন্য ভিলেজ কমিউনিটি অনুকুল সামাজিক পরিবেশ গড়ে তুলবে ।

📜 ( 5 )নারীশিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হবে পারিবারিক শিক্ষা । নারীশিক্ষা প্রকল্পে শিশু এবং অভিভাবক উভয়ের শিক্ষার উপর গুরুত্ব আরােপ করা প্রয়ােজন ।

📜 ( 6 ) নারীশিক্ষা নারীত্বের চাহিদার উপর গুরুত্ব আরােপ করবে । মাতৃত্বের বৈশিষ্ট্য যেমন শিশুদের যত্ন , গৃহ – অর্থনীতি , শিশুদের লালনপালন ইত্যাদি বালিকাদের শিক্ষার অপরিহার্য অঙ্গ হবে ।

📜 ( 7 ) দেশের প্রত্যেকটি অঞলে নারীশিক্ষা প্রসারের জন্য কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলিকে নানাভাবে সাহায্য করার জন্য হাত বাড়িয়ে দেবে । সরকার নারীশিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে দেশের সার্বিক বিকাশের জন্য উদার হস্তে অর্থ বিনিয়ােগ করবেন।

📜 ( 8 ) মহিলাদের আংশিক সময়ের শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে । সামাজিক ও অর্থনৈতিক কারণে বহু মহিলা পূর্ণ সময়ের শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন না । এঁদের জন্য আংশিক সময়ের শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে ।

📜 ( 9 ) প্রারম্ভিকোত্তর শিক্ষা বৃত্তিমুখী করা প্রয়ােজন । শিক্ষা নারীর উপার্জন ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করবে । এর জন্য নারীশিক্ষাকে বৃত্তিমুখী করে তুলতে হবে । মহিলাদের প্রারম্ভিকোত্তর শিক্ষার অন্যতম উদ্দেশ্য হবে সু – গৃহিণী , সু – মাতা এবং সুনাগরিক গড়ে তােলা ।

📜 ( 10 ) নারী সংঘের সহযােগিতা গ্রহণ করতে হবে । নারীশিক্ষার প্রসার ও উন্নয়নে নারী সংস্থাগুলির সহযােগিতা অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে । মহিলাদের কার্যকারী সাক্ষর করে তােলা সব নারী সংস্থার অন্যতম লক্ষ্য হওয়া উচিত । এই সংস্থাগুলিই নারীশিক্ষার প্রতি জনগণের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলতে প্রয়ােজনীয় ভূমিকা গ্রহণ করবে ।”