দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে যথেষ্ট বৈচিত্র্য

📜নারী – পুরুষের সমান অধিকার বিতর্কে বিরােধী পক্ষ নানা যুক্তি অবতারণা করে যা শুরু হয় জৈবিক যৌনগত পার্থক্য এবং শেষ হয় সামাজিক পরিবর্তনে । বিষয়টি আরও সহজ করে বলা যেতে পারে । বলা হয় , প্রকৃতিই নারী এবং পুরুষের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। সর্বক্ষেত্রে সমান অধিকার সমাজব্যবস্থায় অস্থিরতা ঘটবে । প্রকৃত অর্থে নারী ও পুরুষের যে সমান অধিকারের কথা বলা হচ্ছে তা জৈবিক লিঙ্গগত পার্থক্যকে স্বীকার করে দায়িত্ব , অধিকার এবং সুযােগের সমবণ্টন । সম্ভব মতাে জৈবিক কারণে নারীর কাজের বণ্টনে কিছু পার্থক হওয়া প্রয়ােজন ।

📜বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে লিঙ্গগত ভূমিকা সম্পর্কে সচেতন হওয়া শেখা এবং সেই অনুযায়ী কাজ করা সামাজিকীকরণের ধারণার অন্তর্ভুক্ত । সমাজের ধারণার মতাে সমাজের নিয়ম- নীতি প্রথা , প্রত্যাশা , দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে যথেষ্ট বৈচিত্র্য এবং জটিলতা দেখা যায় ।
অনেক সমাজে নির্দিষ্ট গােষ্ঠীর বাইরে বিবাহ দণ্ডনীয় অপরাধ , আবার অনেক সমাজ বিবাহের ব্যাপারে অনেক উদার । এইভাবে নির্দিষ্ট অঞ্চলের সামাজিক কাঠামাের প্রকৃতি সমাজে লিঙ্গগত ভূমিকার উপর প্রভাব বিস্তার করে । এই ঘটনাটি সম্ভবত সভ্যতার শুরু থেকে চলে আসছে । তবে শিক্ষা , সচেতনতা , সমাজে নারী ও পুরুষ উভয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে । সমাজ সংগঠনে লিগের ভূমিকা একটি স্বাভাবিক ঘটনা । সমাজ সংগঠনে লিঙ্গের ভূমিকা একটি স্বাভাবিক ঘটনা । এই ভূমিকা যাতে ইতিবাচক হয় সেই দিকেই দেশের শিক্ষাব্যবস্থা লক্ষ রাখবে।”