দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতি

📚 দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতি ( Long – term Memory ) :

📑 দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতিতে সংবেদনগত তথ্যসকল স্থায়ী হয় । স্বল্পস্থায়ী স্মৃতিতে অল্প পরিমাণে বর্তমানে ব্যবহৃত তথ্যগুলি সঞ্চিত থাকে । দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতিতে বর্তমানে ব্যবহৃত নয় এমন অসংখ্য সংকেতায়িত ( encoded ) বস্তু স্মৃতিতে থাকে । সংকেতায়ন ( encoding ) বিভিন্ন রকমের হতে পারে ; ভাষাগত ( Linguistic ) ; কল্পগত ( Image ) ; এবং সঞ্চালনগত ( Motor ) । ভাষাগত সংকেতায়নে সংবেদনগত তথ্যকে শব্দের মাধ্যমে সংকেতায়িত করা হয় । কল্পনাগত সংকেতায়নে কল্প বা মানসিক প্রতিচ্ছবির মাধ্যমে এবং শারীরিক দক্ষতাসমূহকে যেমন — সাইকেল চালানাে , সাঁতার কাটা , ফুটবল খেলা ইত্যাদি সলনগত সংকেতায়নের মাধ্যমে মনে রাখা হয় ।

📑 স্মৃতি ধরে রাখা অর্থাৎ সংরক্ষিত তথ্য দুই প্রকারের — ঘটনামূলক স্মৃতি ( Episode Memory ) ও ভাষানির্ভর স্মৃতি ( Semantic Memory )

📑 দৈনন্দিন জীবনের যাবতীয় ঘটনাকে বলা হয় ঘটনামূলক স্মৃতি । এই স্মৃতির সাহায্যেই আমরা কোনাে ঘটনার বিবরণ দিতে পারি । কোনাে ঘটনা অন্য কোনাে ঘটনার সঙ্গে আংশিক সম্পর্কিত হতে পারে । তবে ঘটনার কোনাে অংশ মনে পড়লে সমস্ত ঘটনাই মনে পড়ে । দ্বিতীয় প্রকার অর্থাৎ ভাষানির্ভর স্মৃতি ভাষার সংকেতের মাধ্যমে তথ্য সংরক্ষিত করে , যেমন — পাখি , গাড়ি , পুকুর ইত্যাদি । ‘ পাখি ’ শব্দটি মনে পড়লেই অনেক কিছু স্মরণে আসে । যেমন — উড়তে পারে , ডিম পাড়ে , পালক আছে ইত্যাদি । তেমনি ঘর ’ শব্দটি অনেক কিছু মনে করিয়ে দেয় জানালা , দরজা , ছাদ , কুঁড়েঘর , অট্টালিকা ইত্যাদি ।

এখানে ‘ পাখি ’ , ‘ ঘর ’ – কে ধারণা বলা যায় । এইভাবে ধারণার সাহায্যে বহু বিষয় দীর্ঘ স্মৃতিতে থাকে । এখানে উল্লেখ করা প্রয়ােজন ভাষা শুধু মূর্ত বিষয়টিকেই স্মৃতিতে ধরে রাখতে সাহায্য করে না , বিমূর্ত বৈশিষ্ট্যকেও দীর্থায়ী স্মৃতিতে ধরে রাখতে সাহায্য করে । যেমন গণতন্ত্র , দেশপ্রেম ইত্যাদি ।