পারিপার্শ্বিক অবস্থার পাশাপাশি এক্ষেত্রে , দ্বিতীয় যে বিষয়টির উপর গুরুত্ব দিতে হয় সেটি হল বিভিন্ন উপকরণ ও উপাদানের সমৃদ্ধকরণ । দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য শ্রেণিসজ্জায় প্রয়ােজনীয় বিভিন্ন উপকরণগুলি নিম্নরূপ হবে :
( ক ) চলমান ও পরিবর্তনযােগ্য টেবিল ব্যবহার করা প্রয়ােজন যা শিক্ষার্থীর উচ্চতা , আলাের অবস্থান ইত্যাদির উপর নির্ভর করে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সরানাে যায় ।
( খ ) আংশিক দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য কালাে রংয়ের পরিবর্তে ধূসর বর্ণের চকবাের্ড ব্যবহার করতে হয় এবং আলাের প্রতিফলন যাতে কম হয় সেজন্য ক্রিম রংয়ের মােটা কাগজ ব্যবহার করতে হয় । সেই সঙ্গে এদের অপেক্ষাকৃত মােটা সিসের কাঠ পেনসিল ব্যবহার করতে দেওয়া হয় ।
( গ ) টাইপ রাইটার ও ব্রেইলার হল শ্রেণিকক্ষের বিশেষ উপকরণ । আংশিক দৃষ্টি প্রতিবন্ধীরা অপেক্ষাকৃত বড় মাপের টাইপ রাইটার ব্যবহার করে যার দ্বারা মুদ্রিত লেখা অনেক বড়াে হয় এবং পড়তে সুবিধা হয় । অপরপক্ষে , অন্ধ শিক্ষার্থীরা ব্রেইলের ভাষা লেখার জন্য ব্রেইলার টাইপ মেশিন ব্যবহার করতে পারে । এই ব্রেইলারে প্রধানত ছ – টি চাবি Key ) থাকে যা ব্রেইলের ছ – টি বিন্দুকে উপস্থাপন করে এবং ব্রেইল ভাষায় লিখে থাকে ।
( ঘ ) যেহেতু দৃষ্টি প্রতিবন্ধীরা দৃষ্টিশক্তিকে পুরােপুরি শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারে না , তাই শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক মহাশয়ের বক্তব্য বাণীগ্রাহী যন্ত্রের মাধ্যমে ধারণ করে থাকে এবং পাঠ্যাংশটির রেকর্ডেড বইও শ্রবণ করে থাকে ।
( ঙ ) আংশিক দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য পাঠ্যাংশ বা লিখিত উপকরণের অভিক্ষেপ বড়াে পর্দায় ফেলা হয় এবং অনেক ক্ষেত্রে সরাসরি বিবর্ধিত কাচ পড়াশােনার জন্য ব্যবহৃত হয় ।