( 3 ) উত্তর প্রথাগত পর্যায় ( Post – conventional Stage ) 13 বৎসর এবং তার বেশি :
🔷 এই বয়সেই প্রকৃত নৈতিকতা দেখা দেয় । নীতিবােধ – সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণে ব্যক্তি অন্যান্যদের ওপর নির্ভর করে না । সুসংহত বিবেকের উপরেই সে আস্থা রাখে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে । এই পর্যায়েও দুটি স্তর দেখা যায় ।
পঞ্চম স্তরঃ নৈতিক বিকাশের এই স্তরে প্রধান বৈশিষ্ট্য হল নীতি – সংক্রান্ত কোনাে সিদ্ধান্ত গ্রহণে ব্যক্তি যুক্তির আশ্রয় নেয় । আইন তার আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করে ।
🔷 সে জানে আইন সমগ্র সমাজ দ্বারা স্বীকৃত , তাই আইনকে সামনে রেখেই তার নৈতিক আচরণ প্রকাশ পায় । ব্যক্তির সঙ্গে যদি আইনের দ্বন্দ্ব দেখা দেয় তাহলে আইন ভঙ্গ করে সে চাহিদা পূরণ করে না । সে ক্ষেত্রে আইন পরিবর্তন করে সে চাহিদা পূরণ করবে ।
ষষ্ঠ স্তর : এই স্তরে নৈতিক আচরণের ক্ষেত্রে ব্যক্তির বিবেক খুব সক্রিয় হয় । কোনাে আইন বা সামাজিক চুক্তি দ্বারা নয় । ব্যক্তির আচরণ নিয়ন্ত্রণ হয় তার বিবেকের দ্বারা । সকলের কল্যাণ হয় এমন আচরণ সে করে এবং নিজের আচরণে তা প্রকাশ ঘটায় । একেই সর্বজনীন নীতি বলে ।
🔷 কোহেলবার্গের মতে , অনেকেই এই স্তরে পৌঁছেতে পারেনা । কারণ এর জন্য প্রয়ােজন উচ্চস্তরের বিমূর্ত চিন্তনের ক্ষমতা ।
💠 কোহেলবার্গ ( 1984 ) নৈতিক বিকাশের প্রেক্ষিতে ব্যক্তিদের দুটি ভাগে ভাগ করেছেন—
‘ A ’ টাইপ ও ‘ B ’ টাইপ । ‘ A ’ টাইপের ব্যক্তিদের নৈতিকতা নিয়ন্ত্রিত হয় কর্তৃত্ব এবং নিয়মের দ্বারা এবং ‘ B ‘ টাইপের ব্যক্তিদের নৈতিকতা নির্ভর করে তাদের আদর্শ ও উন্নত বিবেকের দ্বারা ।
🔷 ‘ A ’ টাইপের ব্যক্তির নীতিবােধের ওপর আবেগের ভূমিকা অধিক , অন্য দিকে ‘ B ’ টাইপের ব্যক্তির নীতিবােধের ওপর জ্ঞান ও প্রজ্ঞার ভূমিকা বেশি ।