অর্থপূর্ণ শিখন

📚 ( 1 ) অর্থপূর্ণ শিখন ( Meaningful Learning ) :

📜 অর্থপূর্ণ বিষয়বস্তু অনেক সহজে শেখা যায় । বিভিন্ন পরীক্ষায় এটা প্রমাণিত হয়েছে যে , বিষয়বস্তু যত বেশি অর্থপূর্ণ হয় শিখনের ওপর তার ইতিবাচক প্রভাব তত বেশি । এ সম্পর্কে একটি পরীক্ষার ফলাফল উল্লেখ করা হল ।

📜 এই প্রসঙ্গে Karneski , এবং Stagnei- এর সুপারিশ হল শিক্ষণীয় বস্তুকে অর্থপূর্ণ করে তােলার চেষ্টা করতে হবে ।

📚 ( 2 ) সমগ্র বনাম অংশ পদ্ধতি ( Whole Vs. Part Learning ) :

📜 শিক্ষা মনস্তত্ত্ববিদদের নিকট একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হল শিখন ও স্মরণের ক্ষেত্রে বিষয়বস্তুকে সামগ্রিকভাবে পাঠ করা শ্রেয় , না বিষয়গুলিকে কতকগুলি অংশে ভাগ করে শেখা ভালাে । দেখা গেছে , সাধারণভাবে আংশিক পদ্ধতি অপেক্ষা সামগ্রিক পদ্ধতি সুবিধাজনক ।

📜 উডওয়ার্থের ( Woodworth ) গবেষণা এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে । একটি কাব্য থেকে কঠিনতার দিক থেকে সমান এমন 240 লাইনের দুটি অংশ নেওয়া হল । পরীক্ষার্থী প্রতিদিন 30 লাইন করে একটি আংশিক পদ্ধতি এবং অপরটি সমগ্র পদ্ধতিতে পাঠ করে মুখস্থ করেছিল । পরীক্ষার ফল নীচের তালিকায় উল্লেখ করা হল ।

📜 এই পরীক্ষায় সমগ্র পদ্ধতিতে 83 মি . বা 20 % কম সময় লেগেছে । সমগ্র পদ্ধতির কার্যকারী কারণ হল শিখন বিষয়টি অধিকতর অর্থপূর্ণ হওয়ায় স্মরণ প্রক্রিয়া সহজ এবং অপেক্ষাকৃত কম সময় লাগে । শিখনীয় বিষয়কে যদি অংশে ভাগ করা হয় তবে সমগ্র বিষয়টি অর্থপূর্ণ হয়ে ওঠার অসুবিধা দেখা দেয় । ফলে স্মরণের বিঘ্ন ঘটে । এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে , বিষয়টিকে সমগ্র পদ্ধতিতে পাঠ করা হবে না আংশিক পদ্ধতিতে পাঠ করা হবে সে সিদ্ধান্তে আরও কিছু উপাদান বিবেচনা করা উচিত । উচ্চবুদ্ধিসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের নিকট সমগ্রপদ্ধতি সাধারণ বুদ্ধিসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের থেকে অধিকতর কার্যকারী ।

এছাড়া আরও কিছু শর্ত গুরুত্বপূর্ণ , যেমন বিষয়বস্তুর দৈর্ঘ্য এবং অর্থপূর্ণতা , শিক্ষার্থীর বয়স , অভিজ্ঞতা ইত্যাদি । দেখা গেছে কোনাে কোনাে ক্ষেত্রে বিষয়বস্তুটিকে সামগ্রিকভাবে পাঠ করে কঠিন অংশগুলিকে আংশিক পদ্ধতিতে পাঠ করলে বিষয়টি ভালােভাবে বােঝা যায় । আবার যখন আংশিক পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে তখন মাঝে মাঝে সমগ্র বিষয়টি পাঠ করা ভালাে , কারণ এতে বিষয়বস্তুটি অর্থপূর্ণ হবার সুযােগ পায় যা আংশিক পদ্ধতির দুর্বলতা ।