অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা

🧾 ( ক ) যে – কোনাে শিশুর শারীরিক , বৌদ্ধিক , সামাজিক , প্রাক্ষোভিক , ভাষাগত কিংবা অন্য যে – কোনাে পরিস্থিতি যা থাকুক না কেন তাকে বিদ্যালয়ে প্রবেশের অধিকার দেওয়াই হল অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা । তাদের মধ্যে প্রতিবন্ধী শিশু , উন্নত মেধাসম্পন্ন শিশু , পথ শিশু , শিশুশ্রমিক , উপজাতি সম্প্রদায়ের শিশু , ধর্মীয় , ভাষাগত বা সংস্কৃতির দিক থেকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শিশু বা অন্য কোনাে কারণে ব্যক্তিগত অসুবিধা আছে শিশু , সকলেই অন্তর্ভুক্ত হবে ।

🧾 ( খ ) অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা হল এমন একটি উপায় যা বিভিন্ন বাধাগুলিকে অপসারণ করতে উদ্যোগী হয় । যে বাধাগুলি দেশের সব শিশুদের শিক্ষা গ্রহণের প্রতিকূলতার সৃষ্টি করছে । এই বাধা নানা ধরনের হতে পারে । যেমন — জাতিগত , লিঙ্গগত , সামাজিক স্তর সংক্রান্ত , দারিদ্র্য , প্রতিবন্ধকতা ইত্যাদি । বিশেষ করে প্রতিবন্ধকতাই শিশুদের শিক্ষাগ্রহণের সুযােগ থেকে বঞিত করে । এখানে উল্লেখ করা প্রয়ােজন যে , নিছক সাধারণ শিক্ষার সঙ্গে বিশেষ শিক্ষার সমন্বিতকরণই অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা নয় ।

🧾( গ ) অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষাব্যবস্থায় স্থানীয় প্রয়োজন , চাহিদা , পরিস্থিতি অনুযায়ী শিক্ষার ব্যবস্থাকে পরিবর্তন করার কথা বলা হয় । যাতে শিক্ষাব্যবস্থায় প্রতিটি শিশু অন্তর্ভুক্ত করার উপযােগী হয় । ফলে এক্ষেত্রে শিক্ষাব্যবস্থাকে নমনীয় রাখার কথা বলা হয়েছে । এই ব্যবস্থা বিভিন্ন শিক্ষার স্তর ও শিক্ষা ক্ষেত্রকে স্পর্শ করে । যেমন — প্রাক – প্রাথমিক শিক্ষা , প্রাথমিক শিক্ষা মাধ্যমিক শিক্ষা , উচ্চ শিক্ষা , বৃত্তিমূলক শিক্ষা , বয়স্ক শিক্ষা , শিক্ষক – শিক্ষণ ইত্যাদি পাঠ্যক্রম রচনা , মানবিক ও বস্তুগত সম্পদের সঠিক ব্যবহার সব কিছুই অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা ব্যবস্থার অন্তর্গত ।

🧾( ঘ ) যেখানে সাধারণ শিশুদের সঙ্গে ব্যতিক্রমী শিশুরা এক সঙ্গে বিনা বাধায় পড়ার সুযােগ পায় সেখানে অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষাব্যবস্থা সার্থকতা লাভ করে । তবে এর জন্য যথাযথ পরিকল্পনা , পরিকাঠামােগত ব্যবস্থা ও উদ্যোগ এবং দায়বদ্ধতা থাকতে হবে ।